বাংলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্য়া বেড়ে হল ৫৫০। এখনও পর্যন্ত রাজ্য়ে করোনামুক্ত হয়েছেন ১২৪ জন। রাজ্য় স্বাস্থ্য় দফতরের মেডিক্য়াল বুলেটিন সূত্রে এমন তথ্য়ই জানা গিয়েছে। করোনায় বাংলার 'সেরা পারফরম্য়ান্স' বলে এদিন মন্তব্য় করেছেন মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়।
করোনা মোকাবিলায় বাংলায় লকডাউনের মেয়াদ বাড়ছে, এমন ইঙ্গিতই দিলেন মুখ্য়মন্ত্রী। ''মে মাসের শেষ সপ্তাহ পর্যন্ত এটা মানতে হবে'', বুধবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে এমনটাই জানালেন মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়। এ প্রসঙ্গে এদিন মমতা বলেছেন, ''করোনা কবে যাবে, কেউ বলতে পারছে না। বিশ্বের অন্য়ান্য় অনেক দেশ মে মাসের শেষ সপ্তাহ পর্যন্ত লকডাউন বাড়িয়েছে। আমাদেরও মে মাসের শেষ সপ্তাহ পর্যন্ত এটা মানতে হবে''।
আরও পড়ুন: গ্রিন জোনে চলবে বাস-ট্য়াক্সি, খুলছে একাধিক দোকান, লকডাউনের মধ্য়ে ঘোষণা মমতার
এ প্রসঙ্গে এদিন মুখ্য়মন্ত্রী বলেছেন, ''পরিস্থিতি ভাল কিছু হয়নি যে পরিবর্তন করতে হবে। আরও কিছুদিন নিয়মশৃঙ্খলা মানতে হবে। যেখানে ১০০ শতাংশ লকডাউন হবে, সেখানে পুরোটা হবে, কোথাও শিথিল হলে সেখানে অল্প লকডাউন হবে''।
করোনা মোকাবিলায় লকডাউন সফল করতে গিয়ে বাংলার বুকে 'আক্রান্ত' হতে হল পুলিশকে। মঙ্গলবার হাওড়ার টিকিয়াপাড়ার বেলিলিয়াস রোডে পুলিশকে ইট-পাটকেল ছোড়ার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয়দের একাংশের বিরুদ্ধে। এরপর টিকিয়াপাড়া পুলিশ ফাঁড়িতেও আক্রমণ করা হয় বলে খবর। এ ঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্য়বস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: টিকিয়াপাড়া শুনশান, গভীর রাতে বাড়িতে বাড়িতে পুলিশি অভিযানে গ্রেফতার অভিযুক্তরা
৩ মে'র পর গ্রিন জোনে লকডাউন কিছুটা শিথিল করতে পারে রাজ্য। প্রায় দেড় মাসব্যাপী লকডাউনের কার্যকর হচ্ছে। তারপর হাসপাতালগুলিতে রোগীর ভিড় হু হু করে বাড়বে বলেই মনে করছে নবান্ন। করোনা আবহে সেই রোগীর চাপ নির্দিষ্ট বিধি মেনে কীভাবে সামলানো যায় তারই রূপরেখা প্রস্তুত রাখার জন্য জেলা হাসপাতালগুলিতে নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর। সেই সময়ও সামাজিক বা পারস্পরিক দূরত্ব যেন পালন করা হয় তা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে।
এদিকে, দেশে করোনার প্রকোপ ক্রমশ বাড়ছে। ভারতে করোনায় মৃতের সংখ্য়া হাজার পেরোল। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের দেওয়া পরিসংখ্যান অনুসারে দেশে করোনার বলি মোট ১০০৭ জন। লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যাও। বুধবার সকাল পর্যন্ত দেশে কোভিড-১৯ পজেটিভ ৩১ হাজার ৩৩২ জন। যাঁদের মধ্যে সুস্থ হয়ে গিয়েছেন ৭ হাজার ৬৯৫ জন। মহারাষ্ট্র এখনও পর্যন্ত এ দেশের করোনা ভরকেন্দ্র বলে বিবেচিত হচ্ছে। এই রাজ্যে পজেটিভের সংখ্যা ১১,১০৬ জন ও মৃত ৪০০ পেরিয়েছে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন