রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ৪৯। নতুন করে ১১ জন আক্রান্ত হয়েছেন। শনিবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে একথা জানালেন মুখ্যসচিব রাজীব সিনহা। করোনা মোকাবিলায় রাজ্যে ৭টি পরীক্ষাকেন্দ্র করা হয়েছে। ৫টি সরকারি ছাড়া ২টি বেসরকারি পরীক্ষাকেন্দ্র করা হয়েছে বলে জানান মুখ্যসচিব। রাজ্যে করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা ৩।
এদিকে, করোনা লকডাউনের জেরে রাজ্যের তহবিলে রাজস্ব অমিল। তাই ব্যয় সঙ্কোচনে কড়া পদক্ষেপ নবান্নের। অর্থ দফতরের অমুমোদন ছাড়া কোনও প্রকল্পই চালু করা যাবে না বলে রাজ্য সরকারি অন্যান্য দফতরগুলিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সরকারি নিয়োগও আপাতত স্থগিত রাখা হয়েছে। বিভিন্ন দফতরকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে, নতুন গাড়ি, আইটি-র যন্ত্র, আসবাব, কুলার, শীতাতপ যন্ত্র, টিভি-সহ অন্যান্য সামগ্রী কেনা যাবে না। তবে, সঙ্কোচনের তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে রাজ্য সরকারি কর্মীদের বেতন, পেনশন, চলতি সামাজিক উন্নয়ন প্রকল্প ও করোনাভাইরাস রোধে যেসব ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে- সেগুলিকে।
আরও পড়ুন- LIVE: দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় তিন হাজার ছুঁই ছুঁই
করোনা মোকাবিলায় লকডাউন ঘোষণা হওয়ার পরই রাজ্যে খাদ্যদ্রব্য মজুত করতে শুরু করে আমজনতা। আতঙ্কে বস্তা বস্তা চাল, কেজি কেজি ডাল, ডিম-সহ নানা নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস নিঃশেষ হতে থাকে মুহূর্তে। চাল, মুড়ি, ডিম-সহ নানা জিনিসের দাম লাফ দিয়ে বাড়তে থাকে। এই সুযোগে বেশি মুনাফার লোভে কালোবাজারিও শুরু হয়ে যায়। কালোবাজারি রুখতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিমকেও রাস্তায় নামতে হয়েছে। খাদ্যমন্ত্রী আশ্বাস দিয়েছেন রাজ্যের রাইস মিলগুলোতে কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। শীঘ্রই বাজারে চালের দাম কমতে থাকবে।
অন্য়দিকে,ভারতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় তিন হাজারের কাছাকাছি। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুসারে, ভারতে কোভিড-১৯ পজেটিভ ২,৯০২ জন। এর মধ্যে ১৮৩ জন সুস্থ হয়ে গিয়েছেন। মৃত ৬৮। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে কোভিড-১৯ পজিটিভ সংক্রমের হার সবচেয়ে বেশি। আক্রান্ত হয়েছেন ৪৭৮ জন।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন