বাংলায় ক্রমশ উদ্বেগ বাড়াচ্ছে করোনা। একলাফে পশ্চিমবঙ্গে ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্য়া ৩৭ ছুঁয়েছে। বাংলায় করোনার বলি হয়েছেন ৩, এমনটাই জানিয়েছেন মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়। কলকাতা-সহ রাজ্য়ের বিভিন্ন প্রান্তে লকডাউন না মানার ছবি সামনে এসেছে। করোনা মোকাবিলায় লকডাউনই একমাত্র পন্থা বলে দাবি করেছেন বিশেষজ্ঞরা। অথচ সেই লকডাউন উপেক্ষার ছবি বারবার সামনে আসছে।
এদিন নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে মমতা জানান, ”আজ বিকেল ৪টে পর্যন্ত রাজ্য়ে ৩ জনের মৃত্য়ু হয়েছে। ৩৭ জনের মধ্য়ে ৩ জন সুস্থ। এখন ৩১ জন পজিটিভ। ওঁদের মধ্য়ে ১৭ জন ৪টি পরিবারের। একজনের মৃত্য়ু হয়েছে নিউমোনিয়ায়, আরেক জনের মৃত্য়ু হয়েছে কিডনির সমস্য়ায়। সরকারি তথ্য়ের উপর চোখ রাখুন”।
আরও পড়ুন: ‘৬ না, বাংলায় করোনায় মৃত ৩’, দাবি মমতার
মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায় আরও বলেন, ”আগামী ২ সপ্তাহ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। দয়া করে লকডাউন মেনে চলুন। অযথা বাজারে ভিড় করবেন না। এই পরিস্থিতিতে আগুন নিয়ে খেলবেন না। নিজেকে ভাল রাখতে বাড়িতে থাকুন। এ সময় সেদ্ধ ভাত খান, কিন্তু পেট ভরে খান। এই লড়াই সকলে মিলে লড়তে হবে। রাস্তাঘাটে ঘুরবেন না, আড্ডা মারবেন না”।
ইতিমধ্যেই রাজ্যের প্রথম করোনা আক্রান্ত সহ ৩ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গিয়েছেন। বাংলায় স্বরাষ্ট্র সচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় টুইটে জানিয়েছেন, দিল্লির নিজামুদ্দিনের জমায়েতে এ রাজ্যের অংশগ্রহণকারীদের চিহ্নিত করে তাঁদের কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হবে।
আরও পড়ুন: Live: দেশে করোনা আক্রান্ত বেড়ে ১,৬৩৭ জন, মৃত ৩৮
করোনা পরিস্থিতিতে মঙ্গলবারবার লালবাজারে গিয়ে পুলিশের সঙ্গে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই পরিস্থিতিতে নিজের ‘সীমিত ক্ষমতার’ মধ্যে থেকেই আর্থিক সাহায্য করলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রীর জাতীয় ত্রাণ তহবিলে ৫ লক্ষ টাকার অর্থদান করলেন মমতা। পাশাপাশি, পশ্চিমবঙ্গের স্টেট ইমার্জেন্সি রিলিফ ফান্ডেও ৫ লক্ষ টাকা অনুদান দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এ খবর মঙ্গলবার নিজেই টুইট করে জানিয়েছেন মমতা।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ে হোয়াটসঅ্যাপ-সহ সোশাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ছে ভুয়ো খবর। এবার এই ভুয়ো খবর ছড়ানো ঠেকাতে নড়েচড়ে বসেছে কলকাতা পুলিশ। জানা গিয়েছে, ভুয়ো খবর ছড়ালে হোয়াটসঅ্যাপের গ্রুপ অ্যাডমিনদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। একই নিয়ম প্রযোজ্য হবে ফেসবুক-সহ অন্য়ান্য সোশাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে।
এদিকে, দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্য়া বেড়ে হয়েছে ১৬৩৭। মৃতের সংখ্য়া ছুঁয়েছে ৩৮। এক দিনে সংক্রমণের কোপে ২৪০ জন।দিল্লি সরকারি হাসপাতালের তিন ডাক্তার কোভিড-১৯ পজেটিভ বলে জানা গিয়েছে। ডাক্তার দম্পতির শারীরিক পরীক্ষায় করোনার জীবাণু ধরা পড়েছে। এছাড়াও করোনা আক্রান্ত দিল্লি স্টেট ক্যানসার ইন্সটিটিউটে কর্মরত এক সিনিয়ার রেসিডেন্ট চিকিৎসকও।