বাংলায় করোনার কামড় অব্য়াহত। রাজ্য়ে করোনা আক্রান্তের মৃত্য়ুর সংখ্য়া একলাফে বেড়ে হল ৩৩। বৃহস্পতিবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে মুথ্য়সচিব রাজীব সিনহা জানান, ''মোট ১০৫ জনের মৃত্য়ুর কারণ খতিয়ে দেখেছে ডেথ অডিট কমিটি। ৩৩ জনের মৃত্য়ু করোনায় হয়েছে। ৭২ জনের মৃত্য়ু হয়েছে অন্য় কারণে। ডেথ সার্টিফিকেট অডিট করছে না এই কমিটি। শুধুমাত্র ডেথ কেস অডিট করছে”।
গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ৩৭ জনের শরীরে ভাইরাস মিলেছে। এই মুহূর্তে রাজ্য়ে করোনায় আক্রান্ত ৫৭২ জন। কলকাতা, হাওড়া, উত্তর ২৪ পরগনা থেকে অধিকাংশ পজিটিভ কেস মিলেছে। পাশাপাশি হুগলিতেও করোনা আক্রান্তের হদিশ মিলেছে বলে জানিয়েছেন মুখ্য়সচিব।
রাজ্য়ে মোট ৪৪৪টি কনটেনমেন্ট জোন রয়েছে। কলকাতায় আছে ২৬৪টি , উত্তর ২৪ পগনায় ৭০টি, হাওড়ায় ৭২টি কনটেনমেন্ট জোন রয়েছে বলে জানিয়েছেন রাজীব সিনহা। আগামী ২ মে গ্রিন জোনে ছাড় নিয়ে বিধি প্রকাশ করা হবে বলে জানানো হয়েছে। তিনি বলেন, ”কেন্দ্রের থেকে সুস্পষ্ট ভাবে কোনও নির্দেশিকা পাইনি এখনও। আজ আমাদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন ওঁরা। আশা করছি, শীঘ্রই ওঁরা আমাদের জানাবেন”।
আরও পড়ুন: করোনা আতঙ্কে বাংলায় গ্রামবাসীদের ‘বাধা’য় শিশুপুত্রকে নিয়ে ‘ঘরছাড়া’ মা
করোনাকে রুখতে সর্বস্তরেই চলছে লড়াই। কীভাবে এই ভাইরাসের গ্রাস থেকে মানব জাতিকে রক্ষা করা যায় সেই চিন্তায় ঘুম উড়েছে চিকিৎসক-বিজ্ঞানী মহলের। এই বিষয়েই এবার স্বস্তি দিতে চলেছে কলকাতার এস এন বোস ন্যাশনাল সেন্টার ফর বেসিক সায়েন্স। সম্প্রতি এখানে তৈরি করা হয়েছে করোনা প্রতিরোধকারী একটি ‘ন্যানোমেডিসিন’। কোভিড-১৯ ভাইরাসের বিরুদ্ধে কাজ করতে সক্ষম হবে এই ওষুধ, এমন আশ্বাসবাণীই দিচ্ছেন সংস্থার গবেষকরা।
এদিকে, দেশে করোনার প্রকোপ ক্রমশ বাড়ছে। ভারতে করোনা আক্রান্ত বেড়ে হয়েছে ৩৫ হাজার ৪৩। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে এদিন সকাল পর্যন্ত ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ৪৩৩ জন। বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যাও। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের দেওয়া পরিসংখ্যান অনুসারে করোনা আক্রান্ত হয়ে এ দেশে মৃত্যু হয়েছে ১ হাজার ১৪৭ জনের। গত ২৪ ঘণ্টায়য় মৃত ৭২। মহারাষ্ট্র ও গুজরাটের পরিস্থিতি ভয়াবহ। মহারাষ্ট্রে করোনা আক্রান্ত ১০ হাজারের বেশি।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন