বাংলায় করোনায় মৃত ও আক্রান্তের সংখ্য়া বাড়ল। রাজ্য়ে করোনায় মৃতের সংখ্য়া বেড়ে হয়েছে ৭৯। পশ্চিমবঙ্গে করোনায় আরও ৯২ জন আক্রান্ত হয়েছেন। এই মুহূর্তে করোনায় চিকিৎসাধীন ১ হাজার ১০১। বাংলায় মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্য়া ১ হাজার ৫৪৮। রাজ্য়ে করোনায় সুস্থ হয়েছেন ২৯৬ জন, বৃহস্পতিবার রাজ্য় স্বাস্থ্য় দফতরের বুলেটিনে এ তথ্য়ই প্রকাশ করা হয়েছে।
করোনা পরিস্থিতিতে রাজ্য়ের ভূমিকার সমালোচনা করে মুখ্য়সচিব রাজীব সিনহাকে চিঠি লিখলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব অজয় ভাল্লা। চিঠিতে অজয় ভাল্লা লিখেছেন, ”বাংলায় করোনায় মৃত্য়ুর হার ১৩.২ শতাংশ, যা অন্য় রাজ্য়ের মৃত্য়ুর হারের তুলনায় বেশি। নজরদারি ও চিহ্নিতকরণের অভাবের জেরেই এমনটা হয়েছে। জনবহুল এলাকায় আরও পরীক্ষার প্রয়োজন রয়েছে”। তিনি আরও লিখেছেন, ”কলকাতা ও হাওড়ায় লকডাউন অমান্য় করা হয়েছে। একটি নির্দিষ্ট গোষ্ঠী কিছু এলাকায় লকডাউন ভেঙেছে। ওই এলাকায় পুলিশ আক্রান্ত হয়েছে। লকডাউন কঠোরভাবে পালন করতে হবে”।
আরও পড়ুন: ‘বাংলার মৃত্য়ুর হার বেশি…একটা গোষ্ঠী লকডাউন মানছে না’, রাজ্য়কে ফের পত্রাঘাত কেন্দ্রের
ভারত-বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক স্থলবন্দর দিয়ে পণ্য আমদানি-রফতানি বন্ধ রয়েছে। মাঝে কয়েকদিনের জন্য তা খুললেও করোনা সংক্রমণের ভয়ে তা ফের বন্ধ হয়ে যায়। পশ্চিমবঙ্গ সরকার নতুন করে আমদানি-রফতানি চালুর উদ্যোগ নেয়নি। আর এতেই ক্ষুব্ধ কেন্দ্র। পেট্রাপোল স্থল বন্দরে ফের কাজ শুরুর জন্য রাজ্যকে চিঠি দিল কেন্দ্র।
অবশেষে চালু হল হাওড়া জেলা হাসপাতাল। প্রথমে চালু করা হয় ফিভার ক্লিনিক, কয়েকদিন আগেই চালু করা হয়েছিল জরুরি বিভাগ ও প্রসূতি বিভাগ। বুধবার থেকে খুলে গেল মেডিসিন, শিশু ও সার্জারী বিভাগ। এদিন হাসপাতাল সুপারিন্টেডেন্ট ডা. নারায়ণ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “একমাত্র বহির্বিভাগ ছাড়া পুরো হাসপাতাল খুলে গেল।” উল্লেখ্য়, জেলার প্রথম করোনা আক্রান্তের মৃত্যুর ঘটনার পর থেকেই এই হাসপাতালের একদল নার্সকে কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়। এমনকী হাসপাতালের সুপার এবং আরও এক চিকিৎসক করোনায় আক্রান্ত হন। এরপরেই হাসপাতাল জীবাণুমুক্ত করার জন্য সমস্ত পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়।
এদিকে, দেশে করোনার দাপট ক্রমশ বাড়ছে। বুধবারই নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৩ হাজার ৫০০ জন। বৃহস্পতিবার দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্য়া পঞ্চাশ হাজার পেরিয়েছে। দেশে ভাইরাসে আক্রান্ত ৫২,৯৫২। ভারতে করোনায় মৃতের সংখ্য়া বেড়ে হয়েছে ১৭৮৩।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন