বাংলায় করোনার কামড় অব্য়াহত। পশ্চিমবঙ্গে ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্য়া ছুঁয়েছে ১৬২। রাজ্য়ে করোনায় মৃত বেড়ে হয়েছে ১০।
এদিন সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায় বলেন, “হাওড়া এখন খুব স্পর্শকাতর এলাকা হয়ে পড়ছে। মূলত শিবপুর, সাঁকরাইল এবং হাওড়া শহর এলাকায় ঝুঁকি বেশি। প্রয়োজনে হাওড়ায় বাজারের কাছে সশস্ত্র পুলিশ ফোর্স নামানো হতে পারে। হাওড়ার মতো একই ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে কলকাতার বিভিন্ন এলাকাতেও (এক্ষেত্রে নির্দিষ্ট এলাকার নাম করা হয়নি)।” এমনকি বাজার করার ক্ষেত্রে এদিন চূড়ান্ত সতর্কতা জারি করেছেন মমতা। তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, “মাস্ক না পরে বাজারে ঢোকা যাবে না। বাজারে একসঙ্গে পাঁচজনের বেশি যাওয়া যাবে না। বাজার থেকে বেরনোর সময়ও হাত স্যানিটাইজ করতে হবে।”
অন্য়দিকে, লকডাউনের মধ্য়েও বাংলায় মিষ্টির দোকান খোলায় ছাড়পত্র দিয়েছে মমতা সরকার। এবার ক্রেতা ও বিক্রেতাদের কথা মাথায় রেখে মিষ্টির দোকান খোলার সময় বদল করা হল। লকডাউন চলাকালীন সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টে পর্যন্ত মিষ্টির দোকান খোলা থাকবে বাংলায়। বৃহস্পতিবার নবান্নে মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর একথা জানিয়েছেন মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়।
আরও পড়ুন: লকডাউনে কাটল জটিলতা, মহাজনদের কাছে বন্ধক রাখা রেশন কার্ড ফিরে পেলেন আদিবাসীরা
লকডাউন পরিস্থিতিতে সকলে যাতে সম্পূর্ণ রেশন পান, সেদিকে জোর দিয়েছেন মমতা। এদিন খাদ্য় দফতরের সচিব নিয়োগ করা হয়েছে।রেশন বণ্টন প্রসঙ্গে মমতা বলেন, ”বারবার বলা সত্ত্বেও ১০ শতাংশ মানুষ অর্ধেক রেশন পাচ্ছেন না। কেউ যদি ভেবে থাকেন রেশন দোকান তাঁর নিজের, তাহলে ভুল হবে। সরকার কৃষকদের থেকে চাল কেনে। আগামী ৬ মাস রেশন বিনামূল্য়ে দেওয়া হবে। মাসে ৫ কেজি করে রেশন দেওয়া হবে। যাতে সকলে সম্পূর্ণ রেশন পান, সেদিকে দেখতে হবে। খাদ্য় দফতরের নতুন সচিব নিয়োগ করা হয়েছে”।
এদিকে, দেশে করোনার প্রকোপ ক্রমশ বাড়ছে। ভারতে করোনা আক্রান্তের সংখ্য়া বেড়ে হয়েছে ১৩ হাজার ৩৮৭। যাঁদের মধ্যে ১ হাজার ৭৪৮ জন সুস্থ হয়ে গিয়েছেন। করোনায় দেশে মৃত্যু হয়েছে ৪৩৭ জনের। মহারাষ্ট্রে করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ। সে রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা ৩ হাজাক ২০৫ জন। করোনায় সে রাজ্য়ে মৃত ১৯৪। এরপরেই রয়েছে দিল্লি (আক্রান্ত ১৬৪০, মৃত ৩৮)। ইতিমধ্যেই দেশজুড়ে ব়্যাপিড করোনা পরীক্ষা শুরু হয়েছে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন