করোনা মোকাবিলায় লকডাউন পরিস্থিতিতে শুক্রবার দুপুরে হাওড়া পুরসভায় এসে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করলেন রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। শুক্রবার দুপুরে তিনি হাওড়া পুরসভা ভবনে আসেন এবং এখানে এসে তিনি জেলা প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক করেন। ওই বৈঠকে হাওড়ার জেলাশাসক মুক্তা আর্য, পুলিশ কমিশনার কুণাল আগরওয়াল, হাওড়া জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ ভবানী দাস, পুরসভার কমিশনার বিজিন কৃষ্ণ সহ অন্যান্য আধিকারিকরা উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য, শুক্রবারই হাওড়া জেলাকে করোনা সংক্রমণের ক্ষেত্রে 'খুব স্পর্শকাতর' বলে চিহ্নিত করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
বৈঠক শেষে পুরমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, 'কলকাতায় যেভাবে করোনামুক্ত করার কাজ হচ্ছে সেইভাবেই,এখানে হাওড়ায় কাজ করা হচ্ছে। যেখানে আমাদের কোভিড রোগীর সংখ্যা বেশি পাওয়া গিয়েছে সেইসব জায়গাগুলোয় লকডাউন করে সেখানে দিয়ে যাতে লোক বেশি যাতায়াত না করতে পারে সেই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।' তাঁর সংযোজন, 'আমাদের বস্তি এলাকায় যেখানে জনঘনত্ব বেশি সেখানকার কিছু স্বেচ্ছাসেবীদের নিয়ে ওই এলাকায় কাদের শরীর খারাপ হয়েছে সেইদিকে লক্ষ্য রাখা হবে। হাওড়ায় যে কটা কেস পাওয়া গিয়েছে সেটা তারমধ্যেই বেঁধে রাখা কর্পোরেশনের লক্ষ্য। এই কাজগুলো ঠিকমতো হচ্ছে কিনা হাওড়া জেলাশাসক এবং জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিকদের দেখতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।'
আরও পড়ুন- করোনায় অতি স্পর্শকাতর হাওড়ায় সশস্ত্র পুলিশ নামানোর ভাবনা রণংদেহী মমতার
হাওড়া করোনা সংক্রমণের রেড জোন বলে চিহ্নিত। তাই সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। পুরমন্ত্রীর কথায়, ' হাওড়া এবং কলকাতায় জনঘনত্ব জেলার মধ্যে সবচেয়ে বেশি। যে কোনও সময় মহামারী হয়ে হতে পারে। সেই কারণে আগে থেকেই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তবে যে হারে জনসংখ্যা সেই হারে ব্রেকআউট এখনও হয়নি। যেটা হয়েছে তার মধ্যেই সীমাবদ্ধ রাখা এবং আর যাতে না ছড়াতে পারে নতুন এলাকায় সেটাই আমাদের সামনে চ্যালেঞ্জ।'
বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর অভিযোগ, করোনায় ত্রাণ বন্টন নিয়ে মমতা সরকার রাজনীতি করছে। লুকনো হচ্ছে মৃত্যুর সংখ্য়াও। এ প্রসঙ্গে ফিরহাদ হাকিম বলেন, 'মৃত্যুর সংখ্যা চাপা হচ্ছে না বা সরকার চাপছে না কারণ এতে সরকারের কোনো লাভ নেই। মুম্বই বা দিল্লীতে যে মহামারীর আকার ধারণ করেছে কলকাতায় সে দিক থেকে অনেক ভাল অবস্থায়। যারা বলছেন তারা বোকা বোকা রাজনীতি করছে। কর্পোরেশন যে সার্টিফিকেট দেয় তাতে মৃত্যুর কারণ দেওয়া থাকে না। কর্পোরেশন মৃতদেহ ডিসচার্জ করে।'
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন