করোনা নয়, বাংলার যুবকের মৃত্যু হয়েছে ব্লাড সুগারেই। বেলেঘাটার নাইসেডের রিপোর্টে তা স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে।
করোনা ভাইরাসেই কি সৌদি ফেরৎ ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে? রবিবার রাত থেকে এই প্রশ্নেই চাঞ্চল্য ছড়ায়। তাঁর রক্তের নমুনা পাঠানো হয় বেলেঘাটার নাইসেডে। সেই পরীক্ষাতেই স্পষ্ট হয়েছে যে ব্লাড সুগারে ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে।
জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক প্রশান্ত বিশ্বাস জানান, 'মৃত ওই ব্যক্তি মধ্য প্রাচ্য হয়ে উচ্চ রক্তচাপ ও মধুমেহতে আক্রান্ত হয়ে সংকটজনক অবস্থায় মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ভর্তি হন। তাকে আইসোলেশন বিভাগে রাখা হয়। তার রক্তের নমুনা অতি তৎপরতার সাথে বেলেঘাটার নাইসেডে পাঠানো হয়েছে। যদিও কোন রিপোর্ট এসে পৌঁছায়নি। তাই নিশ্চিত করে কিছু বলা সম্ভব নয়। মৃত ওই ব্যক্তির সঙ্গে যারা বিগত চব্বিশ ঘণ্টা ছিলেন অতিরক্ত সর্তকতা হিসেবে এমন ১৪ জনকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়'।
আরও পড়ুন: করোনা ভাইরাস থেকে আপনার সন্তানকে বাঁচাতে কী কী সতর্কতা নেবেন?
হাসপাতাল সূত্রে খবর, মৃত ব্যক্তি কর্মসূত্রে সৌদি আরবের ওমানের একটি হাসপাতালে দীর্ঘদিন ধরে কর্মরত ছিলেন। হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার সময় তিনি উচ্চ রক্তচাপ ও মধুমেহ রোগে আক্রান্ত হন। ফলে তাঁর মধ্যে শ্বাসকষ্টজনিত কষ্ট ছিল। মৃতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার রাতে সৌদি আরবের রিয়াদ থেকে বিমানে দুবাই হয়ে শনিবার দমদমে পৌঁছান তিনি। রবিবার সকাল থেকেই চরম সংকটজনক হতে থাকে তার শারীরিক অবস্থা। তড়িঘড়ি কালবিলম্ব না করে তাঁকে ভর্তি করে হাসপাতালে হাসপাতালে'।
আরও পড়ুন: মুরগী, মটন, সামুদ্রিক মাছে করোনা! কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা?
বাড়তি সর্তকতা অবলম্বন করে মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাকে আইসোলেশন ওয়ার্ডে রাখার ব্যবস্থা করেন। এরপরই তাঁর নোভেল করোনার জীবাণু বাসা বাঁধতে পারে, এই সন্দেহে একাধিক শারীরিক পরীক্ষা হয়। এরমধ্যেই মৃত্যু হয় ওই মাঝবয়সীর।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন