Advertisment

করোনাভাইরাসের জন্য রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় লকডাউন: কোথায় বন্ধ, কী চলবে?

২৩ মার্চ, সোমবার বিকেল পাঁচটা থেকে রাজ্যের বিভিন্ন জেলার চিহ্নিত এলাকায় শুরু হচ্ছে লকডাউন। কোথায় বন্ধ, কী কী খোলা থাকবে, একেবারেই বন্ধ থাকবে কী কী, বিস্তারিত জেনে নিন।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Coronavirus Lockdown

২৩ তারিখ বিকেল পাঁচটা থেকে লক ডাউন (ছবি: শশী ঘোষ)

করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে রাজ্য সরকার নতুন নির্দেশিকা জারি করেছে। সম্পূর্ণ নিরাপত্তাজনিত বিধিনিষেধের তালিকা প্রস্তুত করেছে রাজ্য। জানানো হয়েছে এই বিধিনিষেধ চালু হবে সোমবার ২৩ মার্চ বিকেল পাঁচটা থেকে। ২৭ তারিখ মধ্য রাত পর্যন্ত এই বিধিনিষেধ লাগু থাকবে নির্দিষ্ট এলাকায়।

Advertisment

কোথায় কোথায় বিধিনিষেধ

কোচবিহার- জেলা সদর

আলিপুরদুয়ার- জেলা সদর, জয়গাঁও

জলপাইগুড়ি- জেলা সদর

কালিম্পং- জেলা সদর

দার্জিলিং- জেলা সদর, মিরিক

উত্তর দিনাজপুর- পুরো জেলা

দক্ষিণ দিনাজপুর- পুরো জেলা

মালদা- পুরো জেলা

মুর্শিদাবাদ- পুরো জেলা

নদিয়া- পুরো জেলা

বীরভূম- পুরো জেলা

পশ্চিম বর্ধমান- পুরো জেলা

পূর্ব বর্ধমান- পুরো জেলা

পুরুলিয়া- জেলা সদর

বাঁকুড়া- জেলা সদর

পশ্চিম মেদিনীপুর- জেলা সদর, খড়গপুর শহর, ঘাটাল শহর

ঝাড়গ্রাম- জেলা সদর

পূর্ব মেদিনীপুর- জেলা সদর, হলদিয়া শহর, দীঘা শহর, ও কাঁথি শহর

হাওড়া- পুরো জেলা

হুগলি- পুরো জেলা

দক্ষিণ ২৪ পরগনা- ডায়মন্ডহারবার., ক্যানিং, সোনারপুর, বারুইপুর, ভাঙড়, বজবজ, মহেশতলা

উত্তর ২৪ পরগনা- সল্ট লেক ও নিউ টাউন সহ সমস্ত পুরো এলাকা

কলকাতা- কলকাতা পুরসভার সব এলাকা

কী কী বিধিনিষেধ লাগু থাকবে দেখে নিন

ট্যাক্সি, অটোরিকশাসহ কোনও যান চলাচল করবে না। হাসপাতাল, বিমানবন্দর, রেলস্টেশন, ও বাস টার্মিনালে যাতায়াতকারী গাড়ি এবং খাদ্য ও নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী বহনকারী গাড়ির ক্ষেত্রে এই নিষেধাজ্ঞা থাকবে না।

সমস্ত দোকান, বাণিজ্যিক সংস্থা, অফিস, কারখানা, ওয়ার্কশপ, গোডাউন বন্ধ থাকবে।

বিদেশ থেকে আগত সকলকে নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত বাড়িতে কোয়ারান্টিনে থাকতে হবে। কতদিন পর্যন্ত থাকতে হবে তা স্থির করে দেবে স্থানীয় স্বাস্থ্যপ্রশাসন।

আপৎকালীন কারণ ছাড়া, সকলকেই বাড়িতে থাকতে হবে এবং বাড়ির বাইরে বেরোতে হলে কঠোরভাবে সামাজিক দূরত্ববিধি মেনে চলতে হবে।

উপরোক্ত বিধিনিষেধের আওতায় যে সব সংস্থা পড়বে না সেগুলি হল

১) আইনশৃঙ্খলা, আদালত, সংশোধনাগার

২) স্বাস্থ্য পরিষেবা

৩) পুলিশ, সশস্ত্র বাহিনী ও আধা সেনা

৪) বিদ্যুৎ, জল ও সংরক্ষণ

৫) দমকল, অসামরিক নিরাপত্তা ও আপৎকালীন ব্যবস্থা

৬) টেলিকম, ইন্টারনেট, তথ্যপ্রযুক্তি, তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর পরিষেবা, ডাকবিভাগ

৭) ব্যাঙ্ক ও এটিএম

৮) রেশন সহ খাদ্য, মুদি দোকান, শাকসব্জি, ফল, মাংস, মাছ, পাঁউরুটি ও দুধ বিক্রি, মজুত ও পরিবহণ

৯)  মুদি ও খাবারের ই কমার্স, ও বাড়ি বাড়ি পৌঁছনোর পরিষেবা

১০) পেট্রোল পাম্প, গ্যাস, তৈল সংস্থার গুদাম ও পরিবহণ

১১) ওষুধের দোকান, চশমার দোকান, ওষুধ বিক্রি ও পরিবহণ

১২) যেসব সংস্থাকে নিয়মিত উৎপাদন চালিয়ে যেতে হয় তাদের কাজও চলতে পারে, তবে সেক্ষেত্রে জেলাশাসকের অনুমতি লাগবে

১৩) সংবাদমাধ্যম ও সোশাল মিডিয়া

১৪) অত্যাবশকীয় পণ্যের জন্য প্রয়োজনীয় উৎপাদন সংস্থা

৭ জনের বেশি এক জায়গায় জড়ো হওয়া নিষিদ্ধ

কোনও সংস্থা অত্যাবশকীয় কিনা তা নিয়ে সংশয় দেখা দিলে, সে সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নেবেন জেলাশাসক বা পুর কমিশনার

সমস্ত জেলাশাসক, পুলিশ কমিশনার, পুলিশ কমিশনার, পুর কমিশনার, পুলিশ সুপার, অতিরিক্ত জেলাশাসক, সিএমওএইচ, এসডিও, বিডিও-কে নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে উপরোক্ত নির্দেশ কার্যকর করবার জন্য যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে।

এই নির্দেশাবলী অমান্য করলে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৮৮ ধারা অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধের মামলার মুখে পড়তে হবে।

মহামারী আইনের প্রেক্ষিতে আগের যেসব নির্দেশাবলী দেওয়া হয়েছিল, সেগুলি সবই কার্যকর থাকবে বলে জানানো হয়েছে রবিবারের নির্দেশে।

মুখ্যসচিবের স্বাক্ষরিত এই নির্দেশে জানানো হয়েছে, প্রয়োজনবোধে সরকারের তরফে আরও ব্যাখ্যা বা সংশোধনী জারি করা হবে।

coronavirus
Advertisment