Advertisment

করোনা ভাইরাস বিনাশ করবে বাংলার নয়া আবিষ্কার ধাতব রোবট?

"সরকারের কাছে আবেদন করছি যে হাসপাতালে, বাজারে, রাজপথে যদি আমরা এই যন্ত্র মানবের মাধ্যমে স্প্রে করতে পারি তাহলে অনেক জীবাণু নষ্ট হবে..."

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
coronavirus, করোনাভাইরাস, করোনা, করোনাভাইরাসের খবর, coronavirus latest news, ধাতব রোবট, রোবট, coronavirus latest update, robot, রোবট, পশ্চিমবঙ্গের খবর, west bengal news, kolkata news, কলকাতার খবর

ছবি: উত্তম দত্ত।

করোনা আতঙ্কে কাঁপছে সারা বিশ্ব। প্রতিদিন শয়ে শয়ে মানুষের মৃত্যু হচ্ছে বিভিন্ন দেশে। এখনও কোনও প্রতিষেধক মেলেনি। এমন পরিস্থিতিতে বাংলায় একটি গবেষণা সংস্থার কর্মীরা তৈরি করেছেন এক ধাতব রোবট। রোবটের মুখ থেকে যে জল নির্গত হবে, সেই জলেই করোনার জীবাণু নিস্ক্রিয় হয়ে যাবে, এমনটাই দাবি করা হয়েছে। আইআইটি খড়গপুর, আলিগড় বিশ্ববিদ্যালয় এবং আরও কিছু খ্যাতনামা প্রতিষ্ঠানের ছাত্ররা মিলে গত কয়েকদিনে এই যন্ত্রমানবটিকে বানিয়েছেন। রোবট বানানোর জায়গা হিসেবে তাঁরা বেছে নিয়েছেন হুগলি জেলার দিল্লি রোড সংলগ্ন একটি বন্ধ কারখানাকে।

Advertisment

কেমন এই রোবটটি?

এটি একটি সাত ফুট উচ্চ ধাতব রোবট। এর মুখের ভেতরে একটি পাখা আছে। আর পেছনের দিকে রয়েছে ইনভার্টারের কিছু ব্যাটারি। ধাতব মূর্তির ভেতরে জলের ট্যাঙ্ক আছে। সেই জল ব্যাটারির মাধ্যমে 'হাইলি চার্জড' হচ্ছে এবং সেই জল ৩৬০ ডিগ্রি কোণজুড়ে স্প্রে হচ্ছে। এই যন্ত্রটার নাম দেওয়া হয়েছে 'এয়ারলেস মাইনাস করোনা'।

আরও পড়ুন: করোনায় ১৮ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি মমতার, কী লিখলেন?

এই ভাবনা যাঁর মস্তিষ্কপ্রসূত, সেই বাঙালি বিজ্ঞানীর নাম দেবায়ন সাহা। তিনি আইআইটির প্রাক্তনী। তাঁর বক্তব্য, "এটি তাঁরা মানব কল্যাণে ব্যবহার করতে চান। তাঁর দাবি, আমরা এইভাবে যদি বিভিন্ন জায়গায় স্প্রে করতে পারি তাহলে পার্টিক্যালস গুলি নিস্ক্রিয় হয়ে যাবে"। তাঁর কথায়, ''আমি মিডিয়ার মাধ্যমে রাজ্যে ও কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে আবেদন করছি যে হাসপাতালে, বাজারে, রাজপথে যদি আমরা এই যন্ত্র মানবের মাধ্যমে স্প্রে করতে পারি তাহলে অনেক জীবাণু নষ্ট হবে। আমাদের কোনও পেটেন্ট লাগবে না, আমরা এটা জনস্বার্থে তৈরি করেছি। ইতিমধ্যেই ভিয়েতনামে এই পদ্ধতিতে অনেক শহরে স্প্রে করা হয়েছে, তাতে সুফলও পাওয়া গেছে। আমরা চাই এইভাবে পাবলিক প্লেস স্যানিটাইজ করতে। সরকার যদি সাহায্য করেন আমরা আরও বিভিন্ন সাইজের এই যন্ত্র বানিয়ে দিতে পারি। মাত্র ৫ দিনে এই যন্ত্র তৈরি হয়েছে। আমরা কোনও ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে এই যন্ত্রের ব্যবহার চাইছি না । আমরা চাই এই চরম সংকটে মানু্ষের পাশে থাকতে। সরকার যদি আমাদের যন্ত্রের পরীক্ষা নিতে চান আমরা সর্বদা প্রস্তুত তার জন্য''।

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

coronavirus
Advertisment