আতঙ্কিত রেলযাত্রীরা যে যেদিক থেকে পারছেন হুড়মুড়িয়ে নামছেন। শুক্রবার দুপুরে হঠাৎ আতঙ্ক ছড়ায় খড়্গপুর প্ল্যাটফর্মে। খড়্গপুর স্টেশনে ট্রেন দাঁড়ানো মাত্রই রেল পুলিশের ব্যাপক তৎপরতা শুরু হয়ে যায়। তখনও যাত্রীদের সম্বিত ফেরেনি। এদিকে একে একে যাত্রীদের দাঁড় করিয়ে ততক্ষণে পরিচয়পত্র পরীক্ষা করছে রেলপুলিশ। পুলিশের কাছে খবর ছিল, বেঙ্গালুরু থেকে করোনা আক্রান্ত সন্দেহে করেন্টাইনে থাকা এক যুবক এই ট্রেনে করেই আসামে পালাচ্ছেন। আর সেই জন্যই এই খানা-তল্লাশি। তবে এত কাণ্ড করেও ওই ট্রেন থেকে খুঁজে পাওয়া যায়নি সেই যুবককে।
রেল সূত্রে খবর, আসামের বাসিন্দা বছর কুড়ির যুবকের নাম বুলেন কুজুর। বেঙ্গালুরুতে একটি বেসরকারি সংস্থায় ঠিকাদারের অধীনে কাজ করত সে। কয়েকদিন আগে তাঁর সর্দি, কাশি ও জ্বরের উপসর্গ দেখা দেয়। তখন স্থানীয় একটি স্বাস্থ্য কেন্দ্রে হোম কোয়ারেন্টাইন-এ থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল চিকিৎসকদের পক্ষ থেকে। কিন্তু সেখান থেকে পালিয়ে যায় ওই যুবক। স্থানীয় প্রশাসনের কাছে খবর আসে, বেঙ্গালুরু-গুয়াহাটি এক্সপ্রেসে চড়ে পালাচ্ছেন তিনি। এরপরই ওই যুবকের ছবি-সহ রেলকে সতর্ক করা হয়।
রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, ওড়িষাতে ট্রেনটিকে থামিয়ে কিছুক্ষণ তল্লাশির চেষ্টা হয়েছিল। তবে পুরোপুরি তল্লাশি করা সম্ভব না হওয়ায় পুনরায় খড়গপুর প্ল্যাটফর্মে ট্রেন দাঁড়ি করিয়ে তল্লাশি শুরু হয়। সকল যাত্রীকেই এদিন প্ল্যাটফর্মে নামিয়ে পরিচয় পত্র পরীক্ষা হয়েছে। এমনকী পুরো ট্রেনটিকে জীবাণুমুক্ত করার কাজও চলেছে বেশ কিছুক্ষণ ধরে। সকলের পরিচয়পত্র পরীক্ষা পরই ছেড়ে দেওয়া হয় ট্রেনটিকে। তবে অধরাই থেকে যায় করেন্টাইন থেকে পালিয়ে আসা ওই যুবক। খড়্গপুর জংশন-এর দায়িত্বপ্রাপ্ত স্টেশন ম্যানেজার দুর্গেশ কুমার পান্ডার দাবি, "ঠিক খবরই ছিল। সম্ভবত মাঝে কোথাও ট্রেন থেকে নেমে পড়েছে সে।"