করোনাভাইরাস রুখতে প্রথম থেকেই বারবার বঙ্গবাসীকে পরামর্শ দিয়ে আসছেন মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়। কখনও ঘরোয়া উপায়ে মাস্ক বানানোর কৌশল বাতলেছেন, কখনও আবার সুস্থ থাকার দাওয়াই দিয়েছেন। কখনও আবার দোকানে জিনিস কেনার সময় সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে রাস্তায় ইটের গুঁড়ি দিয়ে এঁকে বার্তা দিয়েছেন মুখ্য়মন্ত্রী। এবার করোনা যুদ্ধের অন্য়তম প্রধান 'সৈনিক' চিকিৎসক-নার্স, স্বাস্থ্য়কর্মীদের সুস্থ থাকার একাধিক টিপস দিলেন মমতা। পাশাপাশি হাসপাতালের কর্মীদের যাতে 'পেট ভরে' খেতে দেওয়া হয় এবং এজন্য় যাতে কোনও 'কার্পণ্য়' না করা হয়, সে ব্য়াপারেও এদিন নজর দিলেন মমতা।
সোমবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বলেন, ''আমার ডাক্তার-নার্স-স্বাস্থ্যকর্মীদের সুস্থ থাকতে হবে। তাই হাসপাতালের সব কর্মীদের বলছি, গলা পরিষ্কার রাখতে দু'বার করে গরম জলের সঙ্গে পাতিলেবু খান''। এরপরই এদিন ভিডিও কনফারেন্সিংয়ে জেলা প্রশাসনের কর্তা ও স্বাস্থ্য়কর্তাদের উদ্দেশে মমতা বলেন, ''এই ব্য়বস্থা করতে হবে। খরচ বেশি হলে সরকার দেবে। কার্পণ্য় করবেন না''।
আরও পড়ুন: ৫ নয় ১০ লাখের বিমা, চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য নয়া ঘোষণা মমতার
এদিন বৈঠকে মমতা জানতে চান, হাসপাতালের কর্মীদের সকালের খাবারে কী দেওয়া হয়। 'রুটি, সবজি, মিষ্টি' এই উত্তর জেনে জেলা প্রশাসনের কর্তা ও স্বাস্থ্য়কর্তাদের উদ্দেশে মুখ্য়মন্ত্রী বলেন, ''সকালে ডিম সেদ্ধ দিন। এতে প্রোটিন আছে। হাসপাতালে যাঁরা কাজ করেন, তাঁদের পেট ভরে খেতে হবে। পেট খালি রাখলে চলবে না''।
এরপর মমতা জানতে চান 'বিকেলের রিফ্রেশনমেন্টে' কী ব্য়বস্থা থাকে? জবাবে আসে, 'কেউ মুড়ি খেতে চাইলে মুড়ি দেওয়া হয়'। জবাব শুনে মমতা বলেন, ''শুধু মুড়ি নয়, সঙ্গে কিছু দিন। কাঁঠালি কলা খেতে বলবেন। কলা আমাদের শরীরের জীবাণু বের করে দেয়। পাঁউরুটি না পেলে কেক খাওয়াবেন''।
আরও পড়ুন: বেসরকারি সংস্থারা মাইনে কাটবেন না, আর্জি মমতার
নার্স, ডাক্তার, স্বাস্থ্য়কর্মী, আশাকর্মীদের বাড়ি দূরে হলে কাছাকাছি থাকার ব্য়বস্থা করতে হবে বলে এদিন নির্দেশ দেন মমতা। ডাক্তার-নার্সদের খাওয়া-দাওয়ার কোনও সমস্য়া হচ্ছে কিনা খোঁজ নেন মমতা। ডাক্তার-নার্সদের যাতায়াতে কোনও সমস্য়া হচ্ছে কিনা সে নিয়েও খোঁজ নেন মুখ্য়মন্ত্রী।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন