/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2022/05/jodupur-panchayat.jpg)
পুলিশের স্ক্যানারে এই গ্রাম পঞ্চায়েতের পদাধিকারীরা। ছবি- মধুমিতা দে
মালদহে ফের ১০০ দিনের কাজ প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ। জেলা প্রশাসনের নির্দেশ ছাড়াই মেমো নম্বর দিয়ে ১০০ দিন প্রকল্পের কাজ করার অভিযোগ উঠেছে ইংরেজবাজার ব্লকের যদুপুর ১ গ্রাম পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। বিষয়টি জানতে পেরে নড়েচড়ে বসে প্রশাসনের কর্তারা। ঘটনার পরপরই সংশ্লিষ্ট পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে জেলাশাসক এবং ইংরেজবাজার থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ইংরেজবাজার ব্লকের বিডিও সৌগত চৌধুরী।
সম্প্রতি একশো দিন প্রকল্পের কাজ নিয়ে অনেক অভিযোগ জমা পড়েছে জেলাশাসকের দফতরে। অতিরিক্ত জেলা শাসক বৈভব চৌধুরী ও ১০০ দিন প্রকল্পের নোডাল অফিসার অভিষেক চক্রবর্তীকে ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দেন মালদহের জেলা শাসকের রাজর্ষি মিত্র। সেই তদন্ত রিপোর্টে জেলাশাসক জানতে পারেন ইংরেজবাজার ব্লকের যদুপুর ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতে ভুয়ো মেমো নম্বর দিয়ে ১০০ দিনের প্রকল্পের কাজ চলছে। যা পুরোপুরি বেআইনি। জেলা প্রশাসনের অনুমোদন ছাড়া ১০০ দিনের প্রকল্পের কোনও কাজ করা যায় না বলে দাবি জেলাশাসকের। এরপরই ইংরেজবাজারের বিডিওকে এফআইআর করার নির্দেশ দেন মালদহের জেলাশাসক। যদুপুর ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে ইংরেজবাজার থানা লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ইংরেজবাজারের বিডিও।
যদুপুর ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের সেক্রেটারি পঞ্চানন মণ্ডলের দাবি, 'এব্যাপারে তার কিছু জানা নেই। তিনি ৬ মাস হল এখানে কাজে যোগ দিয়েছেন। ফলে এ ব্যাপারে তিনি কিছু মন্তব্য করেননি।'
জেলাশাসক রাজর্ষী মিত্র বলেছেন, '১০০ দিনের কাজপ্রকল্পগুলির তদন্তে নেমে এই তথ্য সামনে আসার পর বিডিওকে এফআইআরের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পুলিশ তদন্ত করছে। পাশাপাশি প্রশাসনও তদন্ত করছে।'
জেলা তৃণমূল সভাপতি তথা বিধায়ক আব্দুর রহিম বক্সীর কথায়, 'যে দূর্নীতি করবে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা মেওয়া হবে। স্বাক্ষর জাল করে টাকা তোলা হয়েছে। তার তদন্ত প্রশাসনের এক্সপার্টরা করবে।'