২১শের মঞ্চ থেকে মণিপুর নিয়ে তোপ দেগেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। বলেছিলেন, 'এই ঘটনা যে কোনও সভ্য সমাজের লজ্জা।' তারপর থেকেই বাংলায় মহিলাদের উপর অত্যাচার নিয়ে সরব হয়েছে বিজেপি। শুক্রবারই ধর্মতলায় মমতার ভাষণের পর পাঁচলার ঘটনা তুলে ধরে সোচ্চার হন সুকান্ত মজুমদার। দিল্লিতে এ রাজ্য়ে নারী নির্যাতনের বর্ণনা দিতে গিয়ে কেঁদে ভাসিয়েছেন লকেট চট্টোপাধ্যায়। শনিবার মালদহে আদিবাসী দুই মহিলার উপর অত্যাচারের ভিডিও টুইটে করে সরব বঙ্গ বিজেপি সভাপতি। প্রশ্ন তুললেন, কেন নবগঠিত 'ইন্ডিয়া'র শরিকরা বাংলার এই ঘটনা নিয়ে নীরব?
এদিন সকাল ৯.৫৭ মিনিটে একটি টুইট করেছেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। সেই টুইটে একটি ভিডিও রয়েছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে, দুই মহিলাকে মারধর করা হচ্ছে প্রায় বিবস্ত্র অবস্থায়। টইটে সুকান্ত মজুমদার লিখেছেন, 'পশ্চিমবঙ্গে আদিবাসী মহিলাদের সঙ্গে আরেকটি ভয়ঙ্কর ঘটনা। মালদহে দুই আদিবাসী মহিলাকে নগ্ন করে নির্দয়ভাবে মারধর করা হয়েছে। অন্যান্য জঘন্য ঘটনার মত, দিদি নীরব এবং কোন ব্যবস্থা নিচ্ছেন না। কেন I.N.D.I.A. এটার নিন্দা করছে না?'
মণিপুর নিয়ে কী বলেছিলেন মমতা?
শুক্রবার ২১শে জুলাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মণিপুর ইস্যুতে কেন্দ্রকে বিঁধে বলেন, 'আমরা সলিডারিটি জানাই, মণিপুরের মানুষকে। বাংলা ও I.N.D.I.A-র পক্ষ থেকে। বেটি বাঁচাও স্লোগান কোথায় গেল বিজেপি? আজ বেটি জ্বলছে। মণিপুরে, দেশে৷ বিলকিসের ওপর যারা অত্যাচার করেছিল তাদের ছেড়ে দিয়েছেন। বক্সারদের অভিযোগকে গুরুত্ব দিলেন না৷ আর মণিপুরে এই অবস্থা৷ আগামীর ভোটে মহিলারা বিজেপিকে ছুঁড়ে ফেলে দেবে। মা-বোন-বেটিদের জন্য আপনার মনে কি একটুও দুঃখ হয় না৷ কথায় কথায় বাংলার দিকে আঙুল তোলেন৷ আমার একটাই বিনীত প্রশ্ন আপনার কাছে, আর কতদিন বেটি জ্বলবে, দলিত জ্বলবে, মানুষ মরবে। আর কতদিন? মণিপুর আমরা ছাড়ছি না৷'
পাল্টা বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় বাংলায় নারীদের ভয়াবহ অবস্থার কথা তুলে ধরে কাঁদতে কাঁদতে বলেন, 'একের পর এক ঘটনা ঘটছে। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মহিলা হয়েও চুপ। আপনারা বলুন, আমরা কোথায় যাব? আমরাও মহিলা। আমরা চাই আমাদের মেয়েদের কোনওভাবে বাঁচাতে। আমরাও এই দেশেরই মেয়ে। পশ্চিমবঙ্গ দেশের বাইরে নয়। আমাদের এফআইআর নেয় না পুলিশ। অনেক কষ্টে পাঁচলা ও ডোমজুড়ের ঘটনায় অনলাইনে আজ এফআইআর দায়ের করা গিয়েছে।'