অন্যান্য দিনের মতো রবিবারও উত্তর ২৪ পরগনার খড়দহের এক দম্পতির বাড়িতে কাজ করতে গিয়েছিলেন এক পরিচারিকা। বহু ডাকাডাকিতেও সাড়া না পেয়ে ঘরের ভিতরে ঢুকে যান তিনি। ঘরে ঢুকেই পরিচারিকা আঁতকে ওঠার মতো দৃশ্য দেখেন। এরপরেই তিনি চিৎকার শুরু করে দেন। ওই বাড়িতে গিয়ে জড়ো হন প্রতিবেশীরা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশও। বাড়ি থেকে দম্পতির দেহ উদ্ধার হয়।
দম্পতির ঘরে ঢুকে প্রথমে কী দেখেছিলেন ওই পরিচারিকা?
পুলিশ সূত্রে খবর, অন্য দিনের মতোই খড়দহের পাতুলিয়ায় ওই দম্পতির বাড়িতে ওই পরিচারিকা কাজ করতে গিয়েছিলেন। প্রথমে বাইরে থেকে বহুবার ডাকাডাকি করেছিলেন তিনি। সাড়া না মেলায় ঘরের ভিতরে ঢুকে যান তিনি। ঘরে ঢুকতেই তিনি দেখতে পান পূজা নামে ওই তরুণীর রক্তাক্ত দেহ মেঝেতে পড়ে রয়েছে।
পাশে ওই তরুণীর স্বামীর মৃতদেহ ঝুলতে দেখেন তিনি। এরপরেই চিৎকার শুরু করেন পরিচারিকা। তাঁর চিৎকারেই আশেপাশের লোকজন ছুটে যান। পরে তাঁরাই খবর দেন থানায়। পুলিশ গিয়ে মৃতদেহটি উদ্ধার করেছে।
আরও পড়ুন- ‘কর্মীদের ঝুঁকিতে ঠেলে নেতারা বিমানে’, বাস দুর্ঘটনা নিয়ে কাদা ছোঁড়াছুড়ি বিজেপি-তৃণমূলে
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে প্রায় ঝগড়া-অশান্তি লেগে থাকতো। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান সম্ভবত প্রথমে স্ত্রীকে খুন করে তারপর আত্মঘাতী হয়েছেন স্বামী। মৃতদেহ দুটি উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলেই বিষয়টি স্পস্ট হবে বলে মনে করছেন পুলিশ আধিকারিকরা।
আরও পড়ুন- বকেয়া চেয়ে দিল্লি এবার কাঁপাবে তৃণমূল! আজ রাতেই গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে অভিষেক
গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। এলাকার বাসিন্দাদেরও এব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। পারাবারিক অশান্তির জেরেই এই কাণ্ড? নাকি এর পিছনে রয়েছে অন্য কোনও কারণ? খতিয়ে দেখছে পুলিশ।