Advertisment

নিঃসঙ্গতা নাকি বিপুল দেনা? দম্পতির মর্মান্তিক পরিণতির পরতে-পরতে রহস্য

এই ঘটনার জেরে অভিযোগ দায়ের না হলেও রহস্যের কিনারা করতে কোমর বেঁধে তদন্ত শুরু দিয়েছে পুলিশ।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
couple deadbody recover at maldaha's chachol

প্রৌঢ় দম্পতির মৃতদেহ উদ্ধার। ছবি: মধুমিতা দে।

বাড়ির পরিত্যক্ত একটি ঘর থেকে প্রৌঢ় দম্পতির ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য। অভিযোগ দায়ের না হলেও রহস্যের কিনারা করতে কোমর বেঁধে তদন্ত শুরু দিয়েছে পুলিশ। প্রতিবেশীরাও নিঃসন্তান এই দম্পতির আকস্মিক পরিণতিতে হতভম্ব হয়ে গিয়েছেন।

Advertisment

মালদহের চাঁচলের কলিগ্রাম এলাকা। এখানেই থাকতেন প্রৌঢ় দম্পতি যোগেন রক্ষিত (৫২) ও সোনামণি রক্ষিত (৪৩)। যোগেনবাবু জমির ব্যবসা করতেন। তাঁরা নিঃসন্তান। কলিগ্রামে পৈতৃক পুরোনো বাড়িতেই থাকতেন তাঁরা। শুক্রবার রাতে ওই বাড়িরই একটি পরিত্যক্ত ঘরে তাঁদের ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান প্রতিবেশীরা। তাঁরা যোগেনবাবুদের আত্মীয়দের খবর দেন। খবর দেওয়া হয় চাঁচল থানাতেও। পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে দেহ দু’টি উদ্ধার করে নিয়ে যায়। দীর্ঘদিন ধরে ওই দম্পতি ওই বাড়িতেই থাকতেন। প্রতিবেশীদের সঙ্গে তেমন যোগাযোগ রাখতেন না তাঁরা।

যোগেনবাবুর ভাইপো ছোটন রক্ষিত বলেন, “কাকু-কাকিমা একাই থাকতেন। তাঁদের ছেলেমেয়ে নেই। কারও সঙ্গে সেভাবে মেলামেশাও করতেন না। কাকু জমির ব্যবসা করতেন। কাকিমা বাড়িতেই থাকতেন। তাঁদের প্রতিবেশীরাই আমাদের খবর দিয়েছেন। ব্যবসার জন্য বাজারে কোনও ঋণ ছিল কিনা জানা নেই। কাকু-কাকিমার মধ্যে কোনওদিন অশান্তির খবরও শুনিনি। কেন এমন হল, বুঝতে পারছি না।''

আরও পড়ুন- Special: শিব-প্রেমেই লুকিয়ে কেষ্ট-রহস্য? ফি-বার ভোটের আগে কোথায় যেতেন অনুব্রত?

এদিকে, স্থানীয় এক বাসিন্দা সৌমেন রায়চৌধুরী বলেন, “ওই দম্পতি নিজের বাড়িতেই আত্মঘাতী হয়েছেন বলে শুনেছি। শুনেছিলাম ওঁদের অনেক দেনা হয়ে গিয়েছিল। দীর্ঘদিন ধরে বাড়িতে তালা দেওয়াই থাকত। তাঁদের দেখাও যেত না। তাঁরা কারও সঙ্গে মিশতেন না। এখন শুনছি, বাড়িতে তালা দেওয়া থাকলেও তাঁরা এখানেই থাকতেন। এর বাইরে আমাদের আর কিছু জানা নেই।”

অন্যদিকে, চাঁচল থানার পুলিশ জানিয়েছে শুক্রবার রাতেই দেহ দু’টি উদ্ধার করা হয়েছে। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কোনও লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়নি। পুলিশের তরফে অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করা হয়েছে। মৃতদেহ দুটি ময়নাতদন্তের জন্য মালদা মেডিক্যাল পাঠানো হয়।

police Maldah West Bengal
Advertisment