Advertisment

অষ্টমীতে প্রথম দেখা, চার ঘণ্টা পর বিয়ে!

শেওড়াফুলির প্রীতমা ও হিন্দমোটরের সুদীপের লাভস্টোরি এখন খবরের শিরোনামে। অষ্টমীর দিনই স্ত্রীর পরিচয় দিয়ে প্রীতমাকে বাড়িতে নিয়ে যান সুদীপ।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

এক বৈশাখে দেখা হলো দুজনার জোষ্টিতে হলো পরিচয়...নাহ্, এতটা সময় ওঁরা দেননি। বরং ম্যারেজ অ্যাট ফার্স্ট সাইটই বলা চলে। সন্ধ্যাবেলায় দেখা, এরপর রাত গড়াতেই বিয়ে। তিন মাস আগে থেকে ভার্চুয়াল মাধ্যমে জমে ওঠে প্রেম। পরিকল্পনা করে অষ্টমীর দিন সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারে হয় প্রথম সাক্ষাৎ। আর এই দিনই দুগ্গা মাকে সাক্ষী রেখে সোজা ছাদনাতলা। তবে অনুপস্থিত পরিবার। তাহলে কি পালিয়ে বিয়ে? না একদমই তা নয়। আসলে প্রথম দেখার পর আর অপেক্ষা করতে পারেননি ওঁরা। তাই নিয়ে ফেলেছেন চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত। প্রথম সাক্ষাতের চার ঘণ্টার মাথায় বিয়ে।

Advertisment

শেওড়াফুলির প্রীতমা ও হিন্দমোটরের সুদীপের লাভস্টোরি এখন খবরের শিরোনামে। অষ্টমীর দিনই স্ত্রীর পরিচয় দিয়ে প্রীতমাকে বাড়িতে নিয়ে যান সুদীপ।

publive-image হিন্দমোটরের সুদীপ ঘোষালের সঙ্গে এভাবেই প্রথম দেখাতে বিয়ে হয়ে গেলো শেওড়াফুলির প্রীতমা ব্যানার্জীর। ছবি: উত্তম দত্ত।

জানা গিয়েছে, সোশাল সাইটে আলাপ সুদীপ ঘোষাল ও প্রীতমা বন্দ‍্যোপাধ‍্যায়ের। সেখান থেকেই জমে ওঠে প্রেম। সুদীপ, প্রীতমার প্রেমে পাগল হয়ে ওঠে। এরপর চলতে থাকে ভিডিও কল মারফৎ প্রেম। একে অপরের প্রেমে তখন রীতিমতো হাবুডুবু। তখনই পুজোতে প্রথম দেখা করার সিদ্ধান্ত নেয় তাঁরা।

publive-image ফেসবুকে পরিচয় জুলাই মাসে।

দেখা করার পর তাঁদের অনুভূতি আরও গাঢ় হয়ে ওঠে। কেউ কাউকে ছেড়ে বাড়ি ফিরতে চায় না। কলকাতায় প্যান্ডেল হপিং-এর পরিকল্পনা বাতিল করে সোজা হিন্দমোটর ফিরে আসেন তাঁরা। এরপর মন্ত্র-পুরোহিত ছাড়াই পাড়ার দুর্গা পুজো মণ্ডপে মা দুর্গার সামনে ঢাক বাজিয়ে চার হাত এক হয় তাঁদের। শুভ কাজে দেরি না করে পুজো মণ্ডপে প্রীতমার সিঁথিতে সিঁদুরও পরিয়ে দেন সুদীপ। হাসি মুখে তা গ্রহণ করেন প্রীতমা। এরপর বাজনা বাজিয়ে রীতিমতো পদযাত্রা করে বর-বৌকে বাড়ি পৌঁছে দেন বন্ধুরাই। এই হঠাৎ বিয়েতে শামিল হন এলাকার বাসিন্দারাও। তবে এই ঘটনার নেপথ্যে যে একদল বন্ধুবান্ধব, তা বলাই বাহুল্য।

publive-image বন্ধুরাই বলে তাহলে আজই হয়ে যাক মা দুর্গাকে স্বাক্ষী রেখে।যেমন বলা তেমন কাজ।

পরিবার কি সুদীপ প্রীতমার এই সিদ্ধান্তের পাশে দাঁড়িয়েছে? আসলে এ ক্ষেত্রে ব্যাপারটা হল, 'মিয়া বিবি রাজি তো কেয়া করেগা কাজি'। জানা গিয়েছে, ছেলের পরিবার অবাক হলেও প্রীতমাকে দেখে খুশি হয়েছেন সুদীপের মা।

viral
Advertisment