এসএসসি মামলায় গত ২৩ জুলাই ইডি পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করেছিল। বেশ কয়েকদফা ইডি হেফাজতে থাকার পর আপাতত তিনি জেল হেফাজতে রয়েছেন। কিন্তু, বারবার রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রীকে আদালতে হাজির করানো বা স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ভুবনেশ্বর এইমসে নিয়ে যাওয়া- কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা বা জেল কর্তৃপক্ষের অভিজ্ঞতা সুখকর নয়। তৃণমূলের প্রাক্তন মহাসচিবের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। ফলে সশীরের বদলে পার্থরকে এজলাসে ভার্চুয়াল হাজিরা নিয়ে বিশেষ আদালতের কাছে চিঠি দেন প্রেসিডেন্সির জেল সুপার।
বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রেসিডেন্সির জেল সুপারের আর্জিতে সম্মতি দিয়েছে আদালত।
তবে প্রেসিডেন্সি জেল সুপারের এই আর্জি নিয়ে ভিন্নমত পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আইনজীবীর। আদালতে তিনি এ বিষয়ে প্রতিবাদ জানাতে পারেন বলে খবর।
২৩ জুলাই গ্রেফতারের পরই আদালতের নির্দেশে পার্থকে ভুবনেশ্বর এইমসে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে দুর্নীতির অভিযোগে ধৃত তৃণমূল মহাসচিবকে দেখেই জনরোষ আছড়ে পড়েছিল। ‘চোর, চোর’ বলে তেড়ে যান বেশ কয়েকজন। যা সামলাতে হিমসিম খেতে হয় নিরাপত্তারক্ষীদের। এখানেই বিষয়টি থামেনি।
গত ২ অগাস্ট জোকা ইএসআই হাসপাতালে স্বাস্থ্যপরীক্ষা হয়েছিল রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রীর। হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে গাড়িতে ওঠার মুখেই পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে লক্ষ্য করে জুতো ছুড়েছিলেন আমতলার বাসিন্দা শুভ্রা ঘড়ুই। বলেছিলেন, 'ওঁদের কোটি কোটি টাকা। কলকাতার একাধিক জায়গায় ফ্ল্যাট কিনেছেন। এসি গাড়ি করে হাসপাতালে আসছেন। এতে আমাদের সমস্যা হচ্ছে। আমরা ঠিক মতো ডাক্তার দেখাতে পারছি না। তাই জন্যই জুতো ছুড়েছি। জুতোটা ওঁর টাকে লাগলে শান্তি পেতাম।'
ফলে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েইছে। যার দরুন তাঁর ভার্চুয়াল হাজিরার আর্জি জানানো হয়েছিল প্রেসিডেন্সির জেল সুপারের তরফে।