SSC Recruitment: এসএসএসি (SSC) গ্রুপ ডি কর্মী নিয়োগ অস্বচ্ছতায় আরও ৫৪২ জনের হদিশ মিলেছে। এঁদের নিয়োগেও অস্বচ্ছতার প্রমাণ মিলেছে। ফলে বৃহস্পতিবার হাইকোর্ট এই ৫৪২ জনেরও বেতন বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে। বহু আগেই মামলাকারীরা দাবি করেছেন, অস্বচ্ছ ভাবে হওয়া এই নিয়োগে মাত্র ২৫ জন নয়, বরং আরও বেশি সুবিধাভোগী। আদালতের এদিনের শুনানিতে সেই দাবি প্রতিষ্ঠা হয়েছে এদিন।
ইতিমধ্যে এই মামলায় সিবিআই তদন্তে স্থগিতাদেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। সিঙ্গল বেঞ্চের রায়ের বিরোধিতা করে চলতি সপ্তাহেই ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন করেছিল রাজ্য।
সেই আবেদনের শুনানিতেই তিন সপ্তাহের অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ মিলেছে। তারপরে বৃহস্পতিবার ফের মামলা সিঙ্গল বেঞ্চে ফিরেছে এবং আদালতের পর্যবেক্ষণ রাজ্যের বিরুদ্ধে গিয়েছে। এদিকে, এসএসসি গ্রুপ ‘ডি’ কর্মী নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চের রায়ের উপর তিন সপ্তাহের অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ জারি করল ডিভিশন বেঞ্চ। অর্থাৎ, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় আগামী তিন সপ্তাহ কোনও অনুসন্ধান করতে পারবে না কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআই। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন ও রবীন্দ্রনাথ সামন্তের ডিভিশন বেঞ্চ বুধবার এই রায় দিয়েছে।
ডিভিশনের বেঞ্চের নির্দেশ, আজই আদালতে স্কুল সার্ভিস কমিশন ও পর্ষদকে গ্রুপ ‘ডি’ কর্মী নিয়োগ সংক্রান্ত সব নথি জমা দিতে হবে। সিল করা খামে তা জমা থাকবে হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের কাছে। আদালতের নির্দেশ ছাড়া ওই নথির কেউ দেখতে পারবেন না।
আগামী সোমবার ফের এই মামলার শুনানি রয়েছে। শুরু হবে মামলার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত। এসএসসি গ্রুপ ‘ডি’ কর্মী নিয়োগ নিয়ে মামলার অনুসন্ধানের ভার গত সোমবার সিবিআই-কে দিয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বেঞ্চ। শুনানিতে প্রশ্ন তুলে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেছিলেন যে, ‘কমিশন সুপারিশ না করলে, কীভাবে নিয়োগপত্র দিল পর্ষদ? কোন অদৃশ্য হাতে এই সুপারিশ পর্ষদে পৌঁছল, কারাই বা জারি করল? ব্যক্তিগতভাবে কোনও রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আমাদের বিরোধ নেই। নেতা-মন্ত্রী আধিকারিক যেই জড়িত থাকুক না কেন দুষ্কৃতীকে চিহ্নিত করতে হবে। কারা নিয়োগপত্র দিয়েছিল? খুঁজে বার করতে হবে। দুষ্কৃতীরা কোনও রাজনৈতিক দলের হয় না।’ বিচারপতির নির্দেশ ছিল, অনুসন্ধান কমিটিতে থাকবে ডিআইজি পদমর্যাদার আধিকারিক, যুগ্ম অধিকর্তা পদমর্যাদার আধিকারিক। অনুসন্ধান দল ২১ ডিসেম্বরের মধ্যে মুখ বন্ধ খামে আদালতকে রিপোর্ট জমা করবে। তারপরই হবে তদন্তের নির্দেশ বিবেচনা।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন