Advertisment

নিগ্রহ-কাণ্ডে নিখিল নির্মল অপসারিত

আলিপুরদুয়ারের পরবর্তী জেলাশাসক হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দপ্তরের অতিরিক্ত সচিব শুভাঞ্জন দাস।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
alipurduar district madhu tea garden program

নিখিল নির্মলের বিরুদ্ধে মামলা শুরুর অনুমতি দিল আদালত (ফাইল ছবি)

অবশেষে সরানো হলো আলিপুরদুয়ারের বর্তমান জেলাশাসক নিখিল নির্মলকে। আজ জারি করা এক সরকারি বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানানো হয়েছে, আলিপুরদুয়ারের পরবর্তী জেলাশাসক হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দপ্তরের অতিরিক্ত সচিব শুভাঞ্জন দাস। ওই একই নির্দেশে বলা হয়েছে, নির্মল দায়িত্ব নেবেন আদিবাসী উন্নয়ন সমবায় নিগমের ম্যানেজিং ডিরেক্টর হিসেবে। তাঁর বর্তমান পদ থেকে তাঁকে "অবিলম্বে অব্যাহতি" দেওয়া হলো।

Advertisment

publive-image শুভাঞ্জন দাসের আগমন

publive-image নিখিল নির্মলের গমন

এর আগে নির্মলের বিরুদ্ধে মামলা শুরু করার অনুমতি দেয় আলিপুরদুয়ার আদালত। তাঁর বিরুদ্ধে ৩২৩ ও ৫০৬ ধারায় মামলা রুজুর আবেদন করে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল পুলিশ। সেই আবেদন মঞ্জুর করে আদালত। তাঁর বিরুদ্ধে দুটি ধারাই জামিনযোগ্য, অপরাধমূলক ভীতি প্রদর্শন এবং ইচ্ছাকৃত শারীরিক আঘাত সংক্রান্ত।

তিন দিন আগে নিখিল নির্মল ফালাকাটার আইসি-র সামনে নির্মমভাবে প্রহার করেন স্থানীয় যুবক বিনোদ সরকারকে। ওই যুবকের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, তিনি নির্মলের স্ত্রীকে ফেসবুকে কটুকাটব্য করেছিলেন। সেদিনের মারধরের ঘটনায় জেলাশাসকের সঙ্গী ছিলেন তাঁর স্ত্রী নন্দিনী কৃষ্ণনও।

এ ঘটনার জেরে নির্মলকে দশ দিনের বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠানো হয়। বদলি করে দেওয়া হয়েছে ফালাকাটা থানার আইসি সৌম্যজিৎ রায়কেও। তিনি যাচ্ছেন কোচবিহার কোতোয়ালিতে। আর ফালাকাটার আইসি-র দায়িত্ব নিতে চলেছেন কোচবিহার কোতোয়ালির বর্তমান ভারপ্রাপ্ত আইসি সমীর পাল।

আরো পড়ুন: মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী, নিখিল নির্মলকে শাস্তি দিন

অন্যদিকে, অভিযুক্ত বিনোদ সরকারকে সোমবার আদালতে তোলার পর তিনি জানান, নির্মলের স্ত্রী ও তাঁর বান্ধবীরা তাঁকে "অশ্রাব্য গালিগালাজ" করার পরই তিনিও মুখ খোলেন, এবং নির্মলের বিরুদ্ধে আদালতে যেতে চান তিনিও। কিন্তু সে বিষয়ে তিনি কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কী না, তা এখনও জানা যায়নি।

প্রসঙ্গত, শারীরিকভাবে অসুস্থ বোধ করায় মঙ্গলবার ফালাকাটা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি হন বিনোদ। সেখান থেকেই সেদিন চাঞ্চল্যকরভাবে কিছুক্ষণের জন্য উধাও হয়ে যান তিনি। পরে আরও চাঞ্চল্যকরভাবে খুঁজে পাওয়া যায় তাঁকে। অভিযোগ, হাসপাতাল থেকে বাড়ি নিয়ে যাওয়ার “অছিলায়” পুলিশ বাইকে চাপিয়ে তাঁকে নিয়ে যায় ফালাকাটার মানবাধিকার কর্মী সুকুমার ঘোষের বাড়িতে। সেখানে ছ’ঘন্টা বসিয়ে রাখা হয় তাঁকে। দেখা করতে দেওয়া হয় নি পরিবারের কাউকে, কিন্তু আইসি সৌম্যজিৎ রায় তাঁর সঙ্গে দেখা করেন বলে ওই বাড়িতে বসেই সংবাদ মাধ্যমের কাছে দাবী করেন বিনোদ।

Facebook police
Advertisment