রাজ্যে করোনা সংক্রমণ ক্রমশ ঊর্ধ্বমুখী। সেই নিয়েই আতঙ্কের পরিবেশ চারপাশে। বারবার করেই চিকিৎসকদের তরফে সেফটি প্রোটোকল মেনে চলার নির্দেশ মিললেও সাধারণ মানুষ একেবারেই সেসব মানতে নারাজ। এদিকে করোনা চোখ রাঙাচ্ছে শহর কলকাতার দিকে।
বিগত কয়েকদিন দ্বিগুণ গতিতে বেড়েছে করোনা সংক্রমণ। শহরের বুকে আতঙ্ক সবথেকে বেশি। কলকাতার পর উত্তর চব্বিশ পরগনাতেও সংক্রমণের হার যথেষ্ট বেশি। সামনের দিনে নিয়ম না মানলে আরও বাড়বে এই সংক্রমণ, এমনই আশঙ্কা করছেন চিকিৎসকরা। মাস্ক পড়া বন্ধ করে দেওয়া, দুরত্ববিধি না মানা, এসব কিছুই দায়ী সংক্রমণ বৃদ্ধিতে। চিকিৎসক মানস গুমটা বলছেন, "যেকোনও ভাইরাস পৃথিবীতে এলে তাঁর চার পাঁচটা ওয়েভ থাকবেই। করোনা ব্যাতিক্রম নয়। সেও নিজের মত বহমান, তাঁর পরবর্তী ম্যাগনেটিউড যাই হোক না কেন, ওয়েভ কিন্তু আসবেই। আর এই সময় লাগাম না দিলে সত্যিই পুজোর সময় মুশকিল। মানুষ যেভাবে সবকিছু আলগাভাবে নিয়েছিলেন, তাতে করে অবস্থা খারাপ হওয়ারই কথা। করোনা নিজের প্রভাব অন্যত্র দেখাতে শুরু করেছে। এখন, কতদিনের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গে ফের এর তাণ্ডব চলবে সেটা বলা মুশকিল। তবে এই শিথিলতা ভাল নয়! সরকারের আবারও করোনা নিয়ে নড়েচড়ে বসা উচিত। সমস্ত পরিষেবা আবারও খতিয়ে দেখা উচিত। তারসঙ্গে মানুষের অবশ্যই সতর্ক হওয়া উচিত"।
শহরের বুকে আতঙ্ক সবথেকে বেশি। কলকাতাকে নিয়ে উদ্বিগ্ন চিকিৎসকরাও। শহর কলকাতায় এর আগেও করোনা মহামারীর বাড়বাড়ন্ত দেখা গিয়েছিল। এপ্রিলের শুরুতেই জানানো হয়, যে মাস্ক পড়া আর বাধ্যতামূলক নয়। এছাড়াও প্রচন্ড গরমে মাস্ক পড়ে থাকলে শ্বাস নেওয়া দায়, ট্রেনে বাসে কারওর মুখে মাস্ক নেই! অনেক মানুষই নিয়ম মানার অভ্যাস হারিয়েছেন। ফলেই দৈনিক সংক্রমণ ক্রমশ বাড়ছে।
সামনেই দুর্গাপুজো! এবছর পুজো উদযাপন নিয়েও রয়েছে নানা ধরনের প্ল্যান। এদিকে, করোনা সংক্রমন আয়ত্বে না এলে বেজায় মুশকিল। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, এখনই যদি একে আটকানো না যায় তবে পরবর্তীতে, এর প্রকোপে ছারখার হবে বাংলা।