কোভিডবিধি কার্যকর রয়েছে। কিন্তু তারই মধ্যে খুলে গেল তারাপীঠের সব হোটেল। ফলে রবিবার সকাল থেকেই তারাপীঠের বিভিন্ন হোটেলে পুন্যার্থীদের ভিড়। ভক্ত সমাগম হয়েছে তারাপীঠ মন্দিরেও। কেন এমন হল? জবাবে জেলা শাসকের ও মহকুমা শাসকের বক্তব্যে বিস্তর ফারাক।
করোনা অতিমারির কারণে রাজ্য সরকার ৩ জানুয়ারি থেকে বেশ কিছু বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। তার মধ্যে অন্যতম ছিল পর্যটন কেন্দ্রগুলিতে জমায়েতের উপর নিষেধাজ্ঞা। তারাপীঠকে পর্যটন কেন্দ্র ধরে নিয়ে ৪ঠা জানুয়ারি তারাপীঠ-রামপুরহাট উন্নয়ন পর্ষদের সভাকক্ষে প্রশাসনিক বৈঠক হয়। সেখানেই সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল যে, সরকারের তরফে পরবর্তী আদেশ না মেলা পর্যন্ত তারাপীঠের সব হোটেল বন্ধ রাখতে হবে। কিন্তু, প্রশাসনের সেই নির্দেশকে তোয়াক্কা না করেই হোটেলগুলি খুলে রাখা হয়েছিল।
৯ জানুয়ারি প্রশাসন কড়া হাতে হস্তক্ষেপ করে। ফলে হোটেলগুলি বন্ধ রাখাতে বাধ্য হয় মালিকরা। ১৫ জানুয়ারি কয়েকটি ক্ষেত্রে নিয়ম কিছুটা শিথিল করলেও অধিকাংশ ক্ষেত্রেই রাজ্য সরকার আগের বিধিনিষেধই কার্যকর রেখেছে। নয়া নির্দেশিকায় উল্লেখ রয়েছে, হোটেল কিংবা অনুষ্ঠান ভবনে ২০০ জন লোক নিয়ে বিবাহ বা সামাজিক অনুষ্ঠান করা যেতে পারে। আর এই নিয়মকেই হাতিয়ার করেছে তারাপীঠ হোটেল ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি সুনীল গিরি। তিনি হোটেলের ২৫ শতাংশ ঘর ভাড়া দেওয়ার পরামর্শ দেন ব্যবসায়ীদের। সুনীলবাবু বলেন, 'আমরা মহকুমা শাসকের সঙ্গে কথা বলেছি। উনি হোটেলের ২৫ শতাংশ ঘর ভাড়া দেওয়ার আদেশ দিয়েছেন। সেই মতো আমরা এদিন থেকে হোটেলের ঘর ভাড়া দিতে শুরু করেছি।'
এপ্রসঙ্গে রামপুরহাট মহকুমা শাসক সাদ্দাম নাভাস বলেন, 'জেলা প্রশাসন বৈঠক করে ২৫ শতাংশ হোটেল ঘর ভাড়া দেওয়ার ছাড়পত্র দিয়েছে। আমি সেই নির্দেশ হোটেল ব্যবসায়ীদের জানিয়ে দিয়েছি।'
তবে এই আদেশ নিয়ে জেলা শাসক বিধান রায়ের গলায় শোনা গেল অন্য সুর। তিনি বলেন, 'রাজ্য সরকারের আগের যে নির্দেশ ছিল সেই নির্দেশ জারি থাকবে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত। সেই নির্দেশ অনুযায়ী পর্যটন কেন্দ্রের কোন হোটেল ভাড়া দেওয়ার যাবে না পর্যটকদের। তবে বিবাহ কিংবা সামাজিক অনুষ্ঠান থাকলে সে ক্ষেত্রে ২০০ জন নিয়ে ভাড়া দেওয়া যেতে পারে।'