করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের ভ্রুকুটির মধ্যেই বাঙালির প্রিয় দার্জিলিংয়ে জারি একগুচ্ছ কোভিড বিধিনিষেধ। পর্যটকদের জন্য পাহাড়ের দরজা খুললেও বিধি মানতে হবে এখানে থাকতে গেলে। হোটেল বুকিং থেকে শুরু পাহাড়ে ঘোরাঘুরির জন্য জেলা প্রশাসন একাধিক বিধি জারি করেছে।
সাফ নির্দেশ, ভ্যাকসিনের জোড়া ডোজ নেওয়া থাকতে হবে নাহলে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে করা আরটি-পিসিআর নেগেটিভ রিপোর্ট থাকতে হবে, দুটির কোনওটিই না থাকলে পাহাড়ে প্রবেশ নিষেধ পর্যটকদের জন্য। ভ্যাকসিনের জোড়া ডোজের সার্টিফিকেট দেখাতে হবে হোটেল থাকতে গেলে। সেটা না থাকলে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে করা আরটি-পিসিআর নেগেটিভ রিপোর্ট দেখাতে হবে।
দুটির মধ্যে একটিও না থাকলে দার্জিলিংয়ে হোটেল বা হোম স্টে-তে থাকা যাবে না। এর আগে একইরকম কোভিড বিধি জারি হয়েছে দিঘা -শান্তিনিকেতনে। তারাপীঠ-কঙ্কালিতলা মন্দিরেও ভক্তদের প্রবেশের আগে কোভিড টেস্ট বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এবার পাহাড় হাতছানি দিলেই বেড়িয়ে পড়লে হবে না। সঙ্গে রাখতে হবে জোড়া ভ্যাকসিনের সার্টিফিকেট বা আরটি-পিসিআর নেগেটিভ রিপোর্ট।
আরও পড়ুন বন্ধ থাকছে লোকাল! মেট্রো খুলে দিয়ে রাজ্যে ৩০ জুলাই পর্যন্ত বাড়ল কোভিড বিধিনিষেধ
প্রসঙ্গত, করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের ভ্রুকুটির মধ্যেই বেপরোয়া পর্যটকদের ভিড় উপচে পড়ছে হিল স্টেশনগুলিতে। পাহাড়ি এলাকায় সেই ভিড়ের ছবি-ভিডিও ভাইরাল হতেই নড়েচড়ে বসেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক। এই পরিস্থিতিতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন চিকিৎসকরা। ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন সতর্ক করে জানিয়েছে, বিশ্বে অতিমারীর ইতিহাস ও তথ্যপ্রমাণ থেকে স্পষ্ট করোনার তৃতীয় তরঙ্গ অবশ্যম্ভাবী। এবং তা আসন্ন।
চিকিৎসকদের অভিযোগ, দেশের বহু অংশে সরকার ও সাধারণ মানুষ ঢিলেমি দিচ্ছে। কোভিড বিধি না মেনেই ভিড়-জমায়েত করছে। অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে তাঁরা আক্ষেপ করেছেন। কেন্দ্রও মানুষের এই বেপরোয়া মনোভাব নিয়ে উদ্বিগ্ন। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের যুগ্মসচিব লব আগরওয়াল বলেছেন, “আমরা যখন করোনার তৃতীয় তরঙ্গের কথা বলছি, তখন আমরা এটাকে আবহাওয়ার পূর্বাভাস হিসাবে দেখছি। এর গুরুত্ব বুঝতে পারছি না। নিজেদের দায়িত্ব পালন করছি না। সবার কাছে অনুরোধ, সচেতন ও দায়িত্বশীল থাকুন।”
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন