গরুপাচার মামলায় দিল্লির তিহাড় জেলে বন্দি অনুব্রত মণ্ডল। কিন্তু সেখানে তিনি ভাল নেই। ফের আসানসোল জেলে ফেরত যাওয়ার আবেদন করেছিলেন বীরভূমের জেলা তৃণমূল সভাপতি। কিন্তু তাতে জোর আপত্তি ইডি-র। সোমবার দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালতে ইডি-র আইনজীবী আপত্তি জানিয়ে বলেন, একবার অনুব্রত আসানসোল জেলে চলে গেলে, ফের তাঁকে গরুপাচার মামলার প্রয়োজনে দিল্লিতে আনতে ৬ মাস লেগে যাবে।
এদিন আদালতে ইডি-র আইনজীবী নীতেশ রানা বলেন, "এখন আগামী তিন-চার বছর তিহাড় জেলকেই নিজের বাড়ি ভাবুন।" কেন তিহাড় ছেড়ে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের অধীনস্থ আসানসোল জেলে যেতে চাইছেন তা নিয়েও প্রশ্ন ইডি-র। রাউস অ্যাভিনিউ আদালতে অনুব্রতর জেল হেফাজতের মেয়াদ ৪ মে পর্যন্ত বাড়িয়েছে। একই সঙ্গে তিহাড় থেকে তাঁকে আসানসোল জেলে ফেরানোর আর্জির শুনানিও সেদিনই হবে বলে জানিয়েছে আদালত।
ইডি-র আইনজীবী এদিন আদালতে প্রশ্ন করেন, রাউস অ্যাভিনিউ কোর্ট পরোয়ানা জারি করা সত্ত্বেও তা ঠেকাতে হাইকোর্ট, সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন অনুব্রত। এর সঙ্গে রাজ্য সরকারের জেল কর্তৃপক্ষও শামিল আছে বলে তাঁর অভিযোগ। শেষে কলকাতা হাইকোর্ট নির্দেশ জারি করলে দিল্লি আনা হয় অনুব্রতকে। নীতেশ রানা এদিন বলেছেন, "অনুব্রত মনে করছেন, আসানসোল জেলটা যেন তাঁর বাড়ি। সেখানে ফেরত যেতে চাইছেন। শেষে সেই তিহাড়েই ফিরে আসতে হবে। তিহাড়ই এখন ওঁর ঘরবাড়ি।"
আরও পড়ুন বেহালা পশ্চিমে পার্থর ইস্তফা চেয়ে গণভোট, যা ভোট পড়ল তাতে অস্বস্তিতে সিপিএম
অনুব্রতর আইনজীবী মুদিত জৈন আদালতে সওয়াল করেন, দিল্লিতে তাঁর মক্কেলের বিরুদ্ধে ইডি-র কোনও মামলা নেই। বরং আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালতে অনুব্রতর বিরুদ্ধে মামলা চলছে। তাই তাঁকে সেখানে ফেরত পাঠানো হোক। ইডি-র হেফাজত শেষের পর তদন্তকারীরা নতুন করে তিহাড়ে গিয়ে অনুব্রতর বয়ান নথিবদ্ধ করেননি। ৬০ দিন হয়ে গেলেও ইডি চার্জশিট দায়ের করেনি। যদি ইডি-র প্রয়োজন হয়, তাহলে তাঁকে আবার তিহাড় জেলে নিয়ে আসা হবে।