দিদি আবারও বরাভয় দিতেই ভরপুর আত্মবিশ্বাসে যেন ফুটছেন অনুব্রত মণ্ডল। 'দিদি পাশে আছে এটাই এনাফ'। শুক্রবার আানসোল জেল থেকে বিধাননগরের আদালতে রওনা দেওয়ার আগে সাংবাদিকদের এমনই বলেন গরু পাচার মামলায় মূল অভিযুক্ত বীরভূমের দোর্দণ্ডপ্রতাপ তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল। ২০১০ সালে মঙ্গলকোটে অশান্তির একটি মামলায় চার্জশিটে নাম রয়েছে কেষ্ট মণ্ডলের। সেই মামলার শুনানির জন্যই শুক্রবার বিধাননগরের এমপি-এলএ কোর্টে হাজিরা তৃণমূল নেতার।
ফুল কনফিডেন্ট কেষ্ট মণ্ডল। এর আগে বেহালার প্রকাশ্য সভা থেকেও অনুব্রত মণ্ডলের পাশে দাঁড়িয়ে একাধিক মন্তব্য শোনা গিয়েছেল তৃণমূল সুপ্রিমোর মুখে। বৃহস্পতিবার ফের একবার কেষ্টর পাশে দাঁড়িয়েই তাঁকে বীরের সম্মান দিয়ে জেল থেকে বের করে আনার নির্দেশ দেন দিদি।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তাঁর প্রতি আস্থা অটুট থাকায় কৃতজ্ঞ অনুব্রত নিজেও। আজ সাফ জানালেন সেকথা। এদিন আসানসোল সংশোধনাগার থেকে বেরনোর পথে গাড়িতেই সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর দেন তিনি। অনুব্রত মণ্ডল বলেন, ''আমি চোর না ডাকাত, যে আমাকে সারাজীবন আটকে রাখবে। জেলে কেউ সারাজীবন থাকে না । জেল থেকে ছাড়া পায়। দিদি পাশে আছে এটাই এনাফ।''
আরও পড়ুন- ‘বীরের সম্মান দিয়ে ফেরাবেন কেষ্টকে’, দলের নেতা-কর্মীদের নির্দেশ মমতার
আসানসোল থেকে বিধাননগরে যাওয়ার পথে এদিন ফের একবার শক্তিগড়ে দাঁড়ায় সিবিআইয়ের কনভয়। রাস্তার পাশের দোকান থেকে অনুব্রত মণ্ডলের জন্য খাবারের বন্দোবস্ত করা হয়। এদিন অবশ্য আগের মতো গাড়ি থেকে নেমে দোকানে যাননি কেষ্ট। গাড়িতেই বসেছিলেন তিনি। তাঁর জন্য দোকান থেকে আনানো হয় পুরী-সবজি। গাড়িতে বসেই জলযোগ সেরে নেন তৃণমূল নেতা। তারপর গাড়ি রওনা দেয় কলকাতার উদ্দেশে।
আরও পড়ুন- বাগুইআটিতে জোড়া খুন: অবশেষে পুলিশের জালে মূল অভিযুক্ত সত্যেন্দ্র
এসএসসি দুর্নীতিতে জেলবন্দি একদা তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। পার্থ গ্রেফতারের পর থেকে একবারের জন্যও তাঁর হয়ে সওয়াল করতে দেখা যায়নি তৃণমূলনেত্রীকে। তবে কেষ্টর জন্য শুরু থেকেই গলা ফাটাচ্ছেন দিদি। বৃহস্পতিবার দলের সাংগঠনিক সভায় ফের একবার অনুব্রতর পাশে দাঁড়িয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
তৃণমূলনেত্রী বলেন, ''কেষ্ট বেচারা ওঁর নিজেরই শরীর খারাপ। প্রতি ভোটে ওঁকে নজরবন্দি করে রেখে দেয়। ভাবছেন জেলে বন্দি করে রেখে পার্লামেন্টের সিট দখল করবেন। ও গুড়ে বালি।'' এরপরেই বীরভূমে দলের নেতা-কর্মীদের নির্দেশের সুরে তৃণমূল সুপ্রিমো বলেন, ''যতদিন কেষ্ট ফিরে না আসছে লড়াই আরও তিন গুণ বাড়বে। বীরের সম্মান দিয়ে ওকে জেল থেকে বের করে আনবেন। এর জন্য তৈরি তাকুন। বীরভূম হারতে শেখেনি, হারতে জানে না।”