New Update
/indian-express-bangla/media/media_files/kMBK6D1VsOmg9nM2tEuY.jpg)
প্রতীকী ছবি।
TMC-Cpim: বাম আমলে ভূমি সংস্কারের ফলে এই জমি যারা পেয়েছিলেন পরবর্তী সময়ে সেই জমি দখল হয়ে যায় বলে অভিযোগ।
প্রতীকী ছবি।
তৃণমূলের খাসতালুকে খাস জমিতে লাল ঝাণ্ডা পুঁতে দিয়ে জমির দখল নিল সিপিএম। এমন ঘটনা পূর্ব বর্ধমানের রাছনৈতিক মহলে বেশ শোরগোল ফেলে দিয়েছে। যদিও ভাতারের তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি , ওই জমি ১ নম্বর খতিয়ানের অন্তর্ভুক্তই রয়েছে। তা জেনেও শূণ্য থেকে এক হওয়ার জন্য সিপিএম এখন গরিবের বন্ধু সজার এইসব মেকি আন্দোলনে নেমেছে। ২৬ শে বিধানসভা ভোটেও ভাতারের মানুষ সিপিএএমকে প্রত্যাক্ষান করবে বলে ভাতার ব্লক তৃণমূলের সভাপতি বাসুদেব বাগ দাবি করেছেন।
ভূমি সংস্কার আইনের বলে বাম আমলে ভাতারেরকাশীপুর এলাকার প্রায় ১৪ একর জমি হিসাবে রেকর্ড ভুক্ত হয়। বাম আমলে ভূমিহীন পরিবারদের মধ্যে বিলি করা সেই খাসজমি তৃণমূলে রাজত্বে বেদখল হয়ে যাওয়ার অভিযোগ তুলে স্বোচ্চার হয় সিপিএমের কৃষক সংগঠন সারাভারত কৃষক সভা।
রবিবার সিপিএমের কর্মী সমর্থকদের সঙ্গে নিয়ে
কাশীপুর গ্রামে ওই ১৪ একর খাসজমির 'দখল' নিল সিপিএম। জমি দখলের নিদর্শন স্বরুপ জমিতে পুঁতে দেওয়া হয় লাল পতাকা।
এলাকাবাসীর কথায় জানা গিয়েছে ,কৃষকসভার ভাতার ২ নম্বর ব্লক কমিটির সম্পাদক তারাপদ ঘোষের নেতৃত্বে স্থানীয় বেশকিছু সিপিএম সমর্থক পরিবারের লোকজন মিছিল করে কাশীপুর মৌজায় ওইসব খাসজমিতে পৌছায়। সেই জমিতে তারা লাল পতাকা পুঁতে দিয়ে উল্লাশে মেতে ওঠে। তারাপদ ঘোষ দাবি করেছেন,প্রায় ২৫ বছর আগে কাশীপুর মৌজায় ১৪ একরের বেশী খাসজমি এলাকার ভূমিহীন পরিবারগুলির মধ্যে বিলি করা হয়েছিল। শতাধিক গরিব পরিবার সেই জমিতে চাষাবাদ করে আসছিলেন।
তাদের মধ্যে বহু পরিবারকে তখন জমির পাট্টা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু বছর তিনেক হল কিছু জোতদার শাসকদলের মদতে সেই জমির দখল করে নেয়। অসৎ উপায়ে ওই জমি তারা নিজেদের নামে রেকর্ডভুক্ত করে ফেলে। কিছু জমি বিভিন্ন সংস্থাকে বিক্রি করে দেওয়া হয়েছিল। কৃষকসভার নেতা তারাপদ ঘোষ দাবি করেন,“ খাসজমি গরিব মানুষ যাতে ফিরে পায় তার জন্য তারা আইনি লড়াই শুরু করেন। সেই লড়াইয়ের ফল স্বরুপ ওই জমিগুলি আবারও সরকারের খতিয়ানে চলে এসেছে।তাই কৃষকসভা চায় গরিব মানুষরাই আবার জমিতে চাষাবাদ শুরু করুক।"
ভাতারের তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি অনুযায়ী,কাশীপুর মৌজায় বেশ কয়েকটি দাগ মিলে প্রায় ১৪ একর জমি এককালে ছিল কামারপাড়া গ্রামের জমিদার পরিবারের। রাজ্যের ভূমি সংস্কার আইন বলে ওই
খাস জমি বলে সরকারী নথিতে পরিচিতি পায়। হসিপিএমের দাবি ওই খাসজমিগুলি বাম আমলে কাশীপুর গ্রামের হতদরিদ্র ভূমিহীন পরিবারগুলির মধ্যে বিলি করা হয়েছিল। শতাধিক পরিবারের মধ্যে বেশকিছু পরিবারকে তখন পাট্টা দেওয়া হয়। কিন্তু তিনবছর আগে থেকে এই চক্রান্ত শুরু হয়। খাসজমি ফের অসৎ উপায়ে ব্যক্তিগত নামে রেকর্ডভুক্ত করে ফেলা হয়। আমরা সংগঠনের পক্ষ থেকে আইন লড়াই চলিয়ে যাই। তার ফলে ওই জমিফের সরকারের ১ নম্বর খতিয়ানে ফিরে আসে।কৃষক সভা সেই জমির দখল ভূমিহীনদের
ফিরিয়ে দিয়েছে। পূর্ব বর্ধমান জেলা সিপিএমের ফেসবুক পেজে ফলাও করে তুলে ধরা হয়েছে লাল ঝাণ্ডা পুঁতে জমির দখল নেওয়ার বৃত্তান্ত।
সারাভারত কৃষকসভার পূর্ববর্ধমান জেলা কমিটির সহ সম্পাদক নজরুল হক জানান,“এলাকার গরীব মানুষের দখলে থাকা প্রায় ৬০-৭০ একর জমি তৃণমূলের মদতে ব্যক্তিগতর নামে হস্তান্তর হয়ে যায়।দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের ফলে গরীব মানুষের সেই জমি পুনরায় সরকারী জমি হিসাবে রেকর্ডভুক্ত হয়েছে।সারাভারত কৃষকসভা গরিবদের জমির পুনঃ দখল দিয়েছে।
কৃষক সভার এই দাবি বিরোধীতা করে জেলা তৃণমূলের মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাস বলেন,ওই জমিতো সরকারী জমি। সরকারী জমিতে দলীয় ঝাণ্ডা পুঁতে দিয়ে এইভাবে গায়ের জোরে দখল করা যায় নাকি? প্রসেনজিৎ বাবু দাবি করেন ,"আসলে বাংলার শূণ্য হয়ে যাওয়া সিপিএম ২৬ শের বিধানসভা ভোটে ১ হওয়ার জন্য এখন নানা নাটক করছে।তৃণমূল সরকার তো দলমত নির্বিশেষে ভূমিহীন দের জমির পাট্টা দিচ্ছে। সেটা জেনেও গরিবের মেকি বন্ধু সাজার জন্য সিপিএম এইসব নাটক করে যাচ্ছে।"