Advertisment

আচমকা বুকে ব্যথা! হাসপাতালে ভর্তি করাতেই হল সূর্যকান্ত মিশ্রকে

অবস্থা স্থিতিশীল হলেও আপাতত চিকিৎসকদের নজরদারিতে তাঁকে হাসপাতালেই থাকতে হবে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Surya Kanta Mishra

সূর্যকান্ত মিশ্র

মঙ্গলবার স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে মুজফফর আহমেদ ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছিলেন। তার পরদিন আচমকাই বুকে ব্যথা! তার জেরে হাসপাতালে ভর্তি করাতে হল সিপিএম নেতা সূর্যকান্ত মিশ্রকে। যা নিয়ে বুধবার রীতিমতো উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়ল রাজ্যের রাজনৈতিক মহলে। স্বাস্থ্য থেকে পঞ্চায়েত, বাম জমানায় দীর্ঘদিন রাজ্যের মন্ত্রী, পরবর্তীতে বিরোধী দলনেতা রাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ বিধায়ক, নেতা- নানা ভূমিকায় সূর্যকান্ত মিশ্রকে দেখেছে রাজ্য রাজনীতি।

Advertisment

স্বভাবতই বিভিন্ন মহল থেকে এই চিকিৎসক-নেতার স্বাস্থ্যের খোঁজখবর নেওয়া শুরু হয়। সেই উদ্বেগ নিরসন করে হাসপাতালের তরফে জানানো হয়েছে, প্রাক্তন মন্ত্রী বর্তমানে স্থিতিশীল অবস্থায় রয়েছেন। সিপিএমের তরফে জানানো হয়েছে, তাঁদের এই পলিটব্যুরো সদস্য আরও কিছুদিন এসএসকেএমে ভর্তি থাকবেন। চিকিৎসকরা তাঁকে নজরদারিতে রাখার প্রয়োজন রয়েছে বলে জানিয়েছেন।

আলিমুদ্দিন স্ট্রিটে সিপিএমের রাজ্য দফতরের কাছেই বেকবাগানে সূর্যকান্ত মিশ্রের মেয়ের বাড়ি। তিনি সেখানেই থাকেন। প্রতি বুধবার মুজফফর আহমেদ ভবনে সিপিএমের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর বৈঠক হয়। কিন্তু, এদিন (বুধবার) সকাল থেকেই শরীর খারাপ থাকায় সিপিএমের এই পলিটব্যুরো নেতা বৈঠকে যোগ দেননি। বদলে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় এসএসকেএম হাসপাতালে।

এর আগে অতি সম্প্রতি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ায় কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করাতে হয়েছিল প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে। গত বুধবার তিনি হাসপাতাল থেকে ছাড়া পান। ঠিক তার একসপ্তাহ পরেই হাসপাতালে ভর্তি করাতে হল বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের মন্ত্রিসভার এই সদস্যকে। বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য হাসপাতালে থাকাকালীন, দলের সঙ্গে হাসপাতালের সংযোগ রক্ষায় বড় ভূমিকা নিতেন সূর্যকান্ত মিশ্র। নিজে চিকিৎসক হওয়ায় সরাসরি চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলতেন। চিকিৎসকদের মেডিক্যাল বোর্ডের বৈঠকেও অনুমতি নিয়ে যোগ দিতেন।

আরও পড়ুন- বগুলায় মৃত ছাত্রের বাড়িতে শিক্ষামন্ত্রী, শোকসন্তপ্ত পরিবারকে কী আশ্বাস দিলেন?

রাজ্য রাজনীতিতে সূর্যকান্ত মিশ্রর উত্থান ১৯৭৮ সালে। তিনি অবিভক্ত মেদিনীপুর জেলার সভাধিপতি হয়েছিলেন। তারপর থেকেই ক্রমশই রাজ্য রাজনীতিতে তিনি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র হয়ে ওঠেন। ২০১১ সালে বামেদের পরাজয়ের পর তিনি রাজ্যের বিরোধী দলনেতা হন। ২০১৫ সালে সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক পদে বসেন। ২০২২ সালের মার্চ অবধি ওই দায়িত্বে ছিলেন।

CPIM Leader of Opposition Hospitalized
Advertisment