আবারও নদিয়ায় বিরাট জয় বামেদের। এবার নদিয়ার তেহট্ট সমবায় সমিতির নির্বাচনে বিশাল জয় পেল সিপিআইএম। পলাশিপাড়ার ধোপট্ট সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতির নির্বাচনে সাফল্য ঝুলিতে পুরল বামেরা। সমবায় সমিতির ৪৯টি আসনে জয় পেলেন সিপিআইএম সমর্থিত প্রার্থীরা। সমিতির ২০টি আসনে জয় পেয়েছেন তৃণমূল সমর্থিত প্রার্থীরা।
তেহট্টের এই সমবায় সমিতির নির্বাচনে শুরু থেকেই লড়াই ছিল মূলত দ্বিমুখী। বিজেপি এই সমিতির নির্বাচনে প্রার্থীই দিতে পারেনি। তবে বিজেপির এই প্রার্থী না দিতে পারার পিছনে 'গোপন সমঝোতা' তত্ত্ব খাড়া করেছে স্থানীয তৃণমূল নেতৃত্ব। তাঁদের অভিযোগ, বিজেপির সঙ্গে 'গোপন সমঝোতা' করেই সমবায় সমিতির নির্বাচনে লড়েছে সিপিআইএম। যদিও বামেরা শাসকদলের তোলা এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
আরও পড়ুন- আদালতে তৃণমূলের ‘ঢাল’ দলের তাবড় নেতা, সেটিং তত্ত্বে বিদ্ধ কংগ্রেসও
এদিকে, পঞ্চায়েত ভোটের আগে নদিয়ায় চার মাসের ব্যবধানে ফের এক সমবায় সমিতির নির্বাচনে বামেদের এই সাফল্য এখন জোর চর্চায়। চার মাস আগে নদিয়ারই চাঁদেরঘাট পঞ্চায়েত সমিতির নির্বাচনেও বিরাট জয় পেয়েছিল বামেরা। ওই সমবায় সমিতির ভোটে প্রার্থীই দিতে পারেনি রাজ্যের শাসকদল। চাঁদেরঘাটের পর এবার জেলারই আরও এক সমবায় সমিতির নির্বাচনে বামেদের এই জয় পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে লাল-শিবিরকে বাড়তি অক্সিজেন জোগাবে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
যদিও পলাশিপাড়ার ধোপট্ট সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতির নির্বাচনের এই ফলের প্রভাব আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটে পড়বে না বলেই মনে করছে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল। সিপিআইএমের যুক্তি, পঞ্চায়েত ভোটেও এই মডেলই খাটতে চলেছে। তৃণমূলের দুর্নীতির প্রতিবাদে সাধারণ মানুষ এগিয়ে আসছেন বলেই এই সাফল্য আসছে বলে দাবি করেছে স্থানীয় সিপিআইএম নেতৃত্ব।