নদিয়ায় তৃণমূলের অস্বস্তি অব্যাহত। পঞ্চায়েতের আগে তেহট্টের চাঁদের ঘাট কৃষি উন্নয়ণ সমবায় সমিতির নির্বাচন যেন সেই বার্তাই দিচ্ছে। বাংলাজুড়ে তৃণমূলের রমরমা। একের পর এক সমবায় ভোটে উড়ছে জোড়-ফুল পতাকা। কিন্তু তেহট্টের উল্টো ছবি। চাঁদের ঘাট কৃষি উন্নয়ণ সমবায় সমিতির ভোটে এবার কোনও আসনেই প্রার্থী দিতে পারেনি তৃণমূল কংগ্রেস! ফলে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ওই সমবায় সমিতি ৪৯ আসনেই জয়ী হল বাম প্রার্থীরা।
খোদ মহুয়া মৈত্রের গড়ে হারল তৃণমূল। এই পরাজয়ের জন্য অবশ্য 'সেটিং তত্ব' খাড়া করছেন চাঁদের পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্যদের কেউ কেউ। তাঁদের অভিযোগ, সিপিআইএমের সঙ্গে তৃণমূলের অঞ্চল ও ব্লক সভাপতি হাত মিলিয়ে দলের বিপত্তি ডেকে এনেছে।
গত নির্বাচনে তৃণমূল সব কটিতে প্রার্থী দিয়েছিল চাঁদেরঘাট সমবায় সমিতির সব আসনে প্রার্থী দিয়েছিল তৃণমূল। জিতেছিল ৬টি আসনে। কিন্তু এবার এবার সমবায় সমিতিতে প্রার্থীই দিতে পারেনি শাসকদল। প্রায় ১৩০০ ভোটার বিশিষ্ট সমবায়ে তাই ৪৯টি আসনেই জয় পেয়েছে বামেরা। ফলে ভোটের আগেই মনোনয়ন পেশ শেষেই স্পষ্ট হয়ে যায় ফলাফল।
বাম নেতৃত্ব প্রায়ই বলেন, অবস্থার বদল ঘটছে। সংগঠন মজবুত হচ্ছে। মানুষ তৃণণূল ও বিজেপির রাজনীতি থেকে মুক্তি চাইছে। মানুষ বুধছে সিপিআইএমই প্রকৃত মেহনতি মানুষের পক্ষে। ভোট হলে বামেরাই জিতবে। তেহট্টের চাঁদের ঘাট কৃষি উন্নয়ণ সমবায় সমিতির নির্বাচন কী বাম নেতৃত্বের সেই দাবিই ইঙ্গিত?