তৃণমূলকে হারিয়ে বাঁশবেড়িয়ায় মাদ্রাসা নির্বাচনে জয়ী হল বামপন্থীরা। বাঁশবেড়িয়া ইদ মহম্মদ হাই মাদ্রাসায় পরিচালন সমিতির নির্বাচন হয় রবিবার। অভিভাবকরা ভোট দেওয়ার পর সন্ধ্যায় হয় গণনা। গণনা শেষে দেখা যায় বামপন্থী ছয় জন প্রার্থী (তার মধ্যে একজন মহিলা) জয়ী হয়েছেন তৃনমূলের প্রার্থীদের হারিয়ে।
Advertisment
এর আগে ছয়জন সদস্যই ছিলেন তৃণমূলের। সিপিএম নেতা জুলফিকার আলি বলেন,'মাদ্রাসার শিক্ষা ব্যবস্থা ঠিকঠাক চলছিল না। অনেক অভিযোগ ছিল। সেগুলো নিয়ে অভিভাবকদের মধ্যে প্রচার করেছি। মানুষ বুঝতে পেরেছেন যে ভাবে মাদ্রাসা পরিচালনা হচ্ছিল তার পরিবর্তন হওয়া দরকার। আমাদের এই জয় কোনও দলের জয় না। মাদ্রাসার অভিভাবকদের জয়। এবার সবাইকে নিয়ে স্কুলের উন্নতি করাই হবে লক্ষ।' এই ফল পঞ্চায়েতে প্রভাব ফেলবে বলে দাবি সিপিএম নেতা জুলফিকার আলির। তিনি বলেন, 'যে ভাবে শিক্ষায় দূর্নীতি হয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রী থেকে আধিকারিকরা- জেলে গেছেন তাতেই মানুষ সব বুঝতে পারছে।'
বাঁশবেড়িয়া পুরসভার এগার নম্বর ওয়ার্ড ইসলামপারা ইদ মহম্মদ হাই মাদ্রাসায় ১,৩০৮ জন ভোটার। মোট ভোট দেন ৬৭৭ জন। ভোট গনণা শেষ হয় রাত সারে দশটা নাগাদ। চলতি বছরেরই পুরসভা নির্বাচনে বাঁশবেড়িয়ায় বিপুল জয় হয়েছে তৃণমূলের। তাহলে মাদ্রাসায় এমন ভরাডুবি হল কেন? পঞ্চায়েতের আগে সে প্রশ্নই ভাবাচ্ছে স্থানীয় তৃনমূল নেতৃত্বকে।
হুগলি জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারন সম্পাদক রাজা চট্টোপাধ্যায় বলেন, 'মাদ্রাসা নির্বাচনের দায়িত্ব আমাদের দেওয়া হয়নি। বিধায়ক দেবরাজ পালকে দিয়েছিলেন। কেন পরাজয় হল যারা দায়িত্বে ছিলেন তারাই বলতে পারবেন।'