রিজওয়ানুর রহমানের দাদা রুকবানুর এখন তৃণমূল বিধায়ক। নন্দীগ্রামের 'শহিদের মা' ফিরোজা বিবিও শাসক দলের বিধায়ক। গুলিতে নিহত নদিয়ার কৃষ্ণগঞ্জের তৃণমূল বিধায়ক সত্যজিৎ বিশ্বাসের স্ত্রী রূপালিকে উনিশের লোকসভায় রানাঘাট আসনে প্রার্থী করেছিল তৃণমূল। সেই তালিকায় এবার নাম উঠল ছাত্র নেতা অনিসের দাদা সামসুদ্দিনের। আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটে আনিসের দাদাকে প্রার্থী করল সিপিআইএম।
গতবছর প্রতিবাদী ছাত্রনেতা আনিস খানের মৃত্যুতে তোলপাড় হয়েছিল রাজ্য। পুলিশের বিরুদ্ধেই উঠেছে খুনের অভিযোগ। আমতার সেই নিহত ছাত্র নেতা আনিসের দাদা সামসুদ্দিন খানকে পঞ্চায়েত ভোটে প্রার্থী করল সিপিআইএম। কুশবেড়িয়া পঞ্চায়েত সমিতির ৪২ নম্বর আসন থেকে কাস্তে-হাতুড়ি প্রতীকে ভোটে লড়াই করছেন সামসুদ্দিন।
কেন হঠাৎ ভোটের ময়দানে সামসুদ্দিন? কুশবেড়িয়া পঞ্চায়েত সমিতির ৪২ নম্বর আসনের সিপিআইএম প্রার্থী বলেছেন, 'আনিস যে সমাজ গড়ার স্বপ্ন দেখত, যে কারণে ওকে রাষ্ট্রীয় নিপীড়নে খুন হতে হল, সেই স্বপ্ন বাস্তবায়িত করতেই আমার ভোটের ময়দানে নামা।'
জানা গিয়েছে, শুরু থেকেই সিপিআইএমের সমর্থক আনিস খানদের পরিবার। এর আগে আনিসের বাবাকে সালেন খানকে সিপিআইএমের মঞ্চে দেখা গিয়েছে। দলের কৃষক সভা ও খেতমজুর সংগঠনের কর্মসূচিতে রানি রাসমণি রোডের সমাবেশে হাজির ছিলেন সালেম। সেই সিপিআইএমের প্রতীকেই এবার পঞ্চায়েতের প্রার্থী সালেমের বড় ছেলে সামসুদ্দিন। কী বলছেন বৃদ্ধ বাবা সালেন খান? তাঁর কথখায়, 'আনিসের হত্যার বিচারের জন্য আমার লড়াই চলবে। আনিসকে যারা পুলিশ পাঠিয়ে খুন করিয়েছিল তাদের বিরুদ্ধে লড়তে নেমেছে আমার বড় ছেলে। আমি ওর পাশে আছি।'
শুধু মুখে নয়, এলাকায় বিভিন্ন দেওয়ালে কাস্তে-হাতুড়ি প্রতীক এঁকে পাশের থাকার বার্তা দিয়েছেন সালেম খান।