Advertisment

জয়নগরের খুন: পালানোর সময় পুলিশের জালে সিপিএম নেতা, পাকড়াও আরও ৪

দলুয়াখাকির বাসিন্দা সইফুদ্দিন লস্করকে খুনে সিপিএম নেতা আনিসুর রহমানই 'মূল চক্রী' বলে মনে করছে পুলিশ।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
cpm leader anisur rahman laskar arrested for murdering jayanagar tmc leader saifuddin laskar , জয়নগরের তৃণমূল নেতা সইফুদ্দিন লস্করকে খুনের অভিযোগে গ্রেফতার করা হল সিপিএম নেতা আনিসুর রহমান লস্করকে

খুন হওয়ায় তৃণমূল নেতা সইফুদ্দিন লস্কর।

গত পরশু জয়নগরের তৃণমূল নেতা সইফুদ্দিন লস্করকে খুনের অভিযোগে গ্রেফতার করা হল সিপিএম নেতা আনিসুর রহমান লস্করকে। নদিয়া থেকে আনিসুরকে ধরেছে পুলিশ। গাড়ি করে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টায় ছিলেন আনিসুর। শেষপর্যন্ত মোবাইল ট্র্যাক করে অভিযুক্তদের ধরে ফেলে পুলিশ। এছাড়া আরও চারজনকে আটক করা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। তবে তাঁদের নাম, পরিচয় এখনও প্রকাশ করা হয়নি।

Advertisment

দলুয়াখাকির বাসিন্দা সইফুদ্দিন লস্করকে খুনে সিপিএম নেতা আনিসুর রহমানই 'মূল চক্রী' বলে মনে করছে পুলিশ। নিহত তৃণমূল নেতার পরিবারের পক্ষ থেকে এফআইআর দায়ের করা হয়েছিল, সেখানে নাম ছিল এলাকায় সিপিএম নেতা বলে পরিচিত আনিসুরের।

পুলিশ সূত্রে খবর, সইফুদ্দিন খুনে পর থেকেই পলাতক ছিলেন এই সিপিএম নেতা আনিসুর। বন্ধ ছিল তাঁর মোবাইলও। সইফুদ্দিন খুনে জড়িত সন্দেহে গত মঙ্গলবার ভোরে গণপিটুনিতে প্রাণ যায় সাহাবুদ্দিন নামে এক ব্যক্তির। কিন্তু গ্রেফতার করা হয় শাহরুল শেখ নামে এক অভিযুক্তকে। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের পর আটকও করা হয় বেশ কয়েকজনকে। তাদের জেরা করেই সইফুদ্দিন খুনে আনিসুর যোগের কথা জানতে পারে পুলিশ।

তদন্তের স্বার্থে পুলিশ দলুয়াখাঁকির আনিসুর রহমান লস্করের খোঁজ শুরু করে। বাড়ি সহ সম্ভাব্য জায়গায় তল্লাশি চালালেও অনুসুর ছিলেন না। তার আগেই পালিয়ে যান আনিসুর। ফলে অভিযুক্তের মোবাইল ফোন ট্র্যাক করা শুরু করে পুলিশ। সেই মত নানা জায়গায় হানা দিলেও কোঁজ পাওয়া যায়নি। শেষপর্ষন্ত নদিয়ার রানাঘাটে আনিসুরের মোবাইল ফোনের লোকেশন দেখে সেখানে যায়। ওখান থেকেই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

আরও পড়ুন- বিশ্বভারতীর ফলক বিতর্কে শেষমেশ মাঠে কেন্দ্র, এল কঠিন নির্দেশ!

তবে আনিসুরকে দলের নেতা বলে মানতে অস্বীকার করেছেন সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী। তিনি বলেন, 'আনিসুরের সঙ্গে দলের কোনও যোগ নেই। সে আমাদের সমর্থক হতে পারে। আসলে পুলিশ তৃণমূলের নেতা খুনে যেকোনও উপায় বিরোধী সিপিএমকে জড়াতে মরিয়া। তাই আততায়ীকে ধরে এখন আমাদের দলের নেতা বলে দেওয়া হচ্ছে। আবার বলা হচ্ছে উনি নাকি কর্মী। আসলে পুরোটাই সাজানো গল্প।' তৃণমূলের রাজ্য মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেছেন, 'আইন আইনের পথে চলবে। সিপিএম যে ধোয়া তুলসী পাতা নয় এই গ্রেফতারি থেকে তা প্রমাণ হয়ে গেল। আসলে এই সন্ত্রাস, খুনের রাজনীতিই সিপিএমের সংস্কৃতি।'

ভোরবেলা নামাজ পড়তে মসজিদে যাওয়ার সময় বামনগাছি অঞ্চলের তৃণমূল নেতা সইফুদ্দিন লস্করকে গুলি করে খুন করা হয় মঙ্গলবার ভোরে। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, মোটরবাইকে আসা দুশ্কৃতিরা তাঁকে খুন করেছে। এই খুনের খবর জানাজানি হতেই দলুয়াখাঁকি, লস্করপাড়ার একাধিক বাড়িতে পরপর আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে জয়নগরের দলুয়াখাঁকি গ্রাম। গ্রাম ছাড়া হয় বহু পরিবার। পরে তারা গ্রামে প্রবেশ করতে গেলে পুলিশের বিরুদ্ধে বাধা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে।

South 24 Pgs
Advertisment