দলীয় নেতৃত্বের নিষেধ না-মেনে গতকালই হারিট গ্রাম পঞ্চায়েতে বিজেপির প্রতিবাদ মিছিলে যোগ দিয়েছিলেন সিপিএম সমর্থকরা। তাঁদের কাঁধে ছিল দলীয় পতাকা। যা নিয়ে রীতিমতো রাজ্য রাজনীতিতে শোরগোল পড়ে যায়। তার প্রেক্ষিতে শনিবার মুখ বাঁচাতে দাদপুর থানায় দৌড়ল সিপিএম। যে সমর্থকরা বিজেপির মিছিলে সিপিএমের পতাকা হাতে যোগ দিয়েছিলেন, তাঁদের বিজেপির সমর্থক বলে দাগিয়ে দিল।
থানায় জমা দেওয়া অভিযোগপত্রে সিপিএমের দাদপুর এরিয়া কমিটির সাধারণ সম্পাদক সৌমেন্দ্রনাথ ঘোষ জানিয়েছেন, ওই সমর্থকরা তাঁদের নয়। রাস্তার ধারে তাঁদের দলীয় পতাকা ছিল। সেই পতাকা হাতে নিয়েই বিজেপির সমর্থকরা গতকালের মিছিলে হেঁটেছেন। সিপিএমের হুগলি জেলা সম্পাদক দেবব্রত ঘোষ পালটা অভিযোগে জানিয়েছেন, বিজেপি হালে পানি পাচ্ছে না। তাই তৃণমূলের সঙ্গে গটআপ করে সিপিএমের কর্মী-সমর্থকদের ভাঙাতে চাইছে। আর, এজন্যই বিভ্রান্তি সৃষ্টি করতে সিপিএমের পতাকা হাতে গতকাল বিজেপির মিছিলে হেঁটেছে।
ঠিক কী হয়েছিল গতকাল? শুক্রবার দাদপুরের হারিট পঞ্চায়েত এলাকায় বিজেপির ডেপুটেশন কর্মসূচি ছিল। সেই মতো শুক্রবার বেলা ১১টায় হরপুর তেমাথা থেকে মিছিল শুরু করেছিলেন বিজেপি কর্মীরা। নেতৃত্বে ছিলেন হুগলির বিজেপি নেতা সুরেশ সাউ, গোপাল উপাধ্যায়, ধীরাজ বিশ্বাস, অর্ঘ্য চক্রবর্তী-সহ অন্যান্য নেতৃত্ব। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নামে জয়ধ্বনি করা থেকে বিজেপি জিন্দাবাদ স্লোগান দিতে শোনা যায় গেরুয়া শিবিরের কর্মীদের। আর, সেই মিছিলেই অদ্ভুতভাবে দেখা যায় বেশ কয়েকটি সিপিএমের পতাকা।
আরও পড়ুন- আলিমুদ্দিনের হুঁশিয়ারিকে ডোন্ট কেয়ার, বিজেপির মিছিলে সিপিএমের পতাকা হাতে হাঁটলেন বাম কর্মীরাও
সংবাদমাধ্যমের সামনে নিজেদের সিপিএম কর্মী হিসেবে পরিচয় দিতেও দ্বিধা করেননি আখতার হোসেন, সুজিত সাঁতরা, শম্ভুজিৎ দে-রা। একইসঙ্গে, তাঁরা জানিয়ে দেন, তৃণমূলের বিরুদ্ধে দাদপুরে সিপিএম কোনও কর্মসূচি নিচ্ছে না। দলের নেতারাও কর্মীদের খোঁজ নিচ্ছেন না। অথচ, একটা সময় এলাকার সিপিএম কর্মী হিসেবে তাঁরা পরিচিত। সেই জন্য তাঁদের প্রতি বঞ্চনাও করছেন তৃণমূল নেতৃত্ব এবং প্রশাসনের পদাধিকারীরা। আর তাই প্রতিবাদ জানাতে বিজেপির মিছিলে শামিল হয়েছেন তাঁরা।