Advertisment

ইকো পার্কে কিং কোহলি, পারদ চড়ছে বিশ্বকাপের

প্রস্তুতি শুরু হয়েছে দিন পনেরো আগে। ইকো পার্ক থেকে অর্ডার পৌঁছে গিয়েছিল কুমোরটুলি ও গিরিশ পার্ক সংলগ্ন আদিত্য মল্লিক লেনে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

দামামা বেজে গেছে বিশ্বকাপের। বৃহস্পতিবার লন্ডনে শুরু হয়েছে দ্বাদশতম ক্রিকেট বিশ্বকাপ। গোটা বিশ্ব মাতবে ব্যাটে বলে বাইশ গজের উন্মাদনায়। আয়োজক দেশ ইংল্যান্ড। সেই উন্মাদনার ঢেউ যে কলকাতার বুকে আছড়ে পড়বে তা বলা বাহুল্য। ক্রিকেট কার্নিভাল শুরু হবে বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়েই। সেই উৎসবের আঁচ লেগেছে নিউ টাউনের ইকো পার্কে।

Advertisment

নিশ্চয়ই ভাবছেন, বিশ্বকাপ হবে সাত সমুদ্দুর পেরিয়ে বিলেতে, তাহলে ইকো পার্কে তার আঁচ পড়বে কেমন করে? এর প্রস্তুতি শুরু হয়েছে দিন পনেরো আগে। ইকো পার্ক থেকে অর্ডার পৌঁছে গিয়েছিল কুমোরটুলি ও গিরিশ পার্ক সংলগ্ন আদিত্য মল্লিক লেনে। ফর্মায়েসের তালিকায় ছিলেন বিরাট কোহলি, ব্যাট-বল, সঙ্গে বিশ্বকাপের ট্রফি।

publive-image ঘরে তৈরি বিশ্বকাপ। ছবি: অরুণিমা কর্মকার

publive-image প্রমাণ সাইজের বিরাট কোহলি। ছবি: অরুণিমা কর্মকার

কুমোরটুলির খ্যাতনামা শিল্পী মিন্টু পালের হাতে তৈরি হয়েছে পাঁচ ফুট নয় ইঞ্চির বিরাট কোহলি। এঁটেল মাটি দিয়ে নিপুণ হাতে হুবহু মুখের আদল নিয়ে এসেছেন শিল্পী। তারপর তাতে দিয়েছেন ফাইবারের প্রলেপে। হৃষ্টপুষ্ট চেহারা, পেশিবহুল হাত, বাঁ হাতে হেলমেট, ডান হাতে ব্যাট, শতরানের পর মাঠে দাঁড়িয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশরত বিরাট কোহলির মূর্তিটাই তৈরি করেছেন মিন্টু পাল। উল্লেখ্য, ক্রিকেট মাঠে কোহলির হাতে যতটুকু ট্যাটু দেখা যায়, সেটিকেও নিপুণ হতে এঁকেছেন শিল্পী।

publive-image বিরাট প্রতিকৃতি। ছবি: অরুণিমা কর্মকার

এই মূর্তি বানাতে কত খরচ হয়েছে? মূর্তির 'ফিনিশিং টাচ' দিতে ব্যস্ত শিল্পী উত্তর দেন, "কাজের দাম টাকায় হয় না। তবে বাজারে এই মূর্তির দাম হবে পঞ্চাশ হাজার টাকা।" দিনে আট ঘণ্টা করে কাজ করে, ১৫ দিনের মাথায় সম্পূর্ণ তৈরি করতে পেরেছেন মূর্তিটি। তিনি জানান, রীতিমত যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ শেষ করতে পেরেছেন। বিশ্বকাপের মরসুমে শুধু বিরাট কোহলি কেন? শিল্পী বলেন, "তা জানি না। সংস্থা থেকে অর্ডার দিয়েছে, তাই বানিয়েছি। আমার মনে হয় ভারতের অধিনায়ক তাই বিরাট কোহলিকেই বেছে নিয়েছে।"

publive-image কাজ সম্পূর্ণ। ছবি: অরুণিমা কর্মকার

অন্যদিকে গিরিশ পার্ক সংলগ্ন আদিত্য মল্লিক লেনে সুভাষ পোড়েল তৈরি করেছেন বিশালাকার ছটি বিশ্বকাপের ট্রফি। শোলা ও কাগজে তৈরি এই ট্রফির অর্ডার আসে দিন দশেক আগে। এত কম সময়ে কী করে সম্ভব হবে কাজ? এদিকে হুজুগে কলকাতাবাসীকে তো বিশ্বকাপের আমেজ দিতেই হবে। কোমর বেঁধে কাজে লেগে পড়লেন শিল্পী। নিপুণ হাতে তৈরি করে ফেললেন একের পর এক বিশালাকায় ট্রফি। যা সাজানো থাকবে ইকো পার্কে। তবে শুধু ট্রফি নয়, রয়েছে ব্যাট, বল ও উইকেটও। বিশ্বকাপের ভরা বাজারে ক্রিকেটের সঙ্গে যুক্ত হতে পেরে বেশ খুশি সুভাষ পোড়েল।

publive-image বৃহৎ বিশ্বকাপ। ছবি: অরুণিমা কর্মকার

বিশ্বকাপ ভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে দিতেই মূলত এই উদ্যোগ। হুজুগে বাঙালি ও শহরের ক্রীড়ামোদীদের বিশ্বকাপের আমেজকে চাঙ্গা রাখতে ঢেলে সাজানো হবে ইকো পার্কের ময়দান। শিল্পীর স্টুডিও থেকে কোহলি সহ ব্যাটে বলে বাইশ গজের নানা আনুষঙ্গিক ভাস্কর্য এখন শোভা বৃদ্ধি করছে ইকো পার্ক ময়দানের, বুধবার রাতেই যেখানে স্থাপন করা হয়েছে কোহলির মূর্তি।

Virat Kohli Cricket World Cup
Advertisment