বাড়িতে একাই ছিলেন বৃদ্ধ। সেটা জেনেই ডাকাতির ছক কষে ওই বাড়িরই গাড়িচালক। বাড়িতে ঢুকেই বৃদ্ধের গলায় ধারালো অস্ত্র ধরে তাঁকে বেঁধে ফেলে দুষ্কৃতীরা। তারপরেই চলে বেপরোয়া লুঠপাট। নগদ টাকা, সেনার গয়না লুঠ করে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা। তবে শেষ রক্ষা হয়নি।
বাড়িতে একাকী বৃদ্ধের গলার ছুরি ঠেকিয়ে তাঁর হাত ও মুখ বেঁধে ডাকাতির ঘটনা নরেন্দ্রপুর থানা এলাকার মিশনপল্লিতে। বাড়ির গাড়িচালকই ডাকাতির এই ছক কষেছিল। ডাকাতির পরেই বৃদ্ধের উপস্থিত বুদ্ধির জেরে ধরা পড়ে যায় এক দুষ্কৃতী। পরে গ্রেফতার করা হয় আরও একজনকে। এই ঘটনায় আর কারও যোগ রয়েছে কিনা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
দক্ষিণ ২৪ পরগনার সোনারপুরের মিশনপল্লির বাসিন্দা বৃন্দাবন সিংহ রায় (৬৭)। দিল্লীতে একটি বেসরকারি সংস্থায় কর্মরত ছিলেন তিনি। তাঁর বাড়িতে তিনি ছাড়াও থাকেন তাঁর স্ত্রী ও ছেলে। বৃদ্ধের ছেলে সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজের অধ্যাপক। এক আত্মীয়ের বিয়ে উপলক্ষ্যে তাঁর স্ত্রী ও ছেলে বর্ধমানে গিয়েছিলেন। তাঁদের বাড়ি ফাঁকাই ছিল। তবে বাড়ির মেন গেটটি খোলা ছিল।
আরও পড়ুন- কলকাতার কাছেই বিরাট ধাক্কা তৃণমূলে! মনোনয়নে ঘাসফুলকে জোরদার টেক্কা পদ্মের!
পুলিশ সুত্রে জানা গিয়েছে, দুষ্কৃতীরা হেঁটে ঢোকে ওই বাড়িতে। সেই কারণেই প্রতিবেশীদের তেমন কোনও সন্দেহ হয়নি। বৃদ্ধ বৃন্দাবন সিংহ রায় জানিয়েছেন, দুপুরে তিনি স্নান সেরে পুজো করছিলেন। পুজো সেরে খেতে যাওয়ার তোড়জোড় করতেই ঘটে বিপত্তি। আচমকা দু'জন এসে তাঁর গলায় চাকু ধরে। তাঁদের মুখ কাপড়ে ঢাকা ছিল। বৃদ্ধের হাত ও মুখ বেঁধে পুরো ঘর তারা তছনছ করে। প্রায় ৩ লক্ষ টাকার মতো নগদ ও একশো গ্রাম সোনার গয়না নিয়ে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা। প্রায় ঘন্টা দুয়েক ধরে চলে এই অপারেশন।
আরও পড়ুন- ভোট সন্ত্রাসে বিচলিত রাজ্যপাল, নাগরিক স্বার্থে নিলেন যুগান্তকারী পদক্ষেপ!
তবে দুষ্কৃতীরা পালিয়ে যেতেই দুষ্কৃতীরা কোনওমতে মুখের কাপড় খুলে চিৎকার শুরু করেন বৃদ্ধ। টের পেয়ে প্রতিবেশীরা তাঁর বাড়িতে জড়ো হন। পাড়ার ছেলেরা ততক্ষণে গোটা এলাকায় তল্লাশিতে নেমে পড়ে। তাতেই এক দুষ্কৃতী ধরা পড়ে যায়। তার নাম নাজমুল হোসেন শেখ, বাড়ি ক্যানিংয়ে। তার কাছ থেকেই উদ্ধার হয়েছে কিছু সোনার গয়না। এছাড়াও গ্রেফতার হয়েছে ডাকাতির মূল পান্ডা ওই বাড়ি গাড়িচালককে।