নদীতে ঘুরে বেড়াচ্ছে বিশাল আকৃতির কুমির। মাঝেমধ্যেই কুমির উঠে এসে রোদ পোহাচ্ছে নদীর পাড়ে। সোশ্যাল মিডিয়ায় কুমিরের নদীর পাড়ে উঠে রোদ পোহানোর ছবি ভাইরাল হতেই হূলস্থূল-কাণ্ড। আপাতত নদীতে নামা বা নদীর পাড়ে না যাওয়ারই পরামর্শ বনদফতরের আধিকারিকদের।
মালদহের মানিকচক ব্লকের সাহেবনগর কাঞ্চনতলা। এই এলাকার মধ্য দিয়েই গিয়েছে কালিন্দী নদী। সম্প্রতি কালিন্দী নদীতেই দেখা মিলেছে বিশালকায় একটি কুমিরের। বিষয়টি জানাজানি হতেই এলাকায় যান মানিকচক থানার আইসি পার্থসারথি হালদার, মালদহ রেঞ্জের ফরেস্ট অফিসার সুজিত কুমার চ্যাটার্জি-সহ ব্লক প্রশাসনের আধিকারিকেরা। বন দফতরের কর্মীরা গিয়ে নদীতে কুমীরের হদিশ পান।
গ্রামের মধ্য দিয়ে বয়ে যাওয়া এই নদী বহু মানুষ ব্যবহার করেন। মৎস্যজীবীরাও নদীতে মাছ ধরেন। তবে এই পরিস্থিতিতে এলাকার এই নদীতে সাধারণ মানুষকে না নামার পরামর্শ দিয়েছেন বনদফতরের কর্তারা। শুক্রবার সকালে এই ঘটনার খবর পেয়ে মালদহের বন দফতরের বিভাগীয় আধিকারিক সিদ্ধার্থ বি. বিশাল তাঁর একটি টিম নিয়ে মানিকচকের কালিন্দী নদীতে যান। তাঁদের সামনেই কুমিরটি ভেসে ওঠে নদীর পাড়ে। তবে কুমিরটি প্রাপ্তবয়স্ক কি না সে ব্যাপারে এখনও পরিস্কার করে কিছু জানাতে পারেননি বনদফতরের কর্তারা। এই নদীর সঙ্গে গঙ্গা নদীর যোগাযোগ রয়েছে। ফলে কোনওভাবে কুমিরটি গঙ্গা নদী থেকে এখানে ঢুকে পড়েছে বলেই অনুমান বন দফতরের কর্তাদের।
আরও পড়ুন- ফিরহাদের জন্যই ফের জেলে অনুব্রত? খারিজ জামিনের আবেদন
স্থানীয় গ্রামবাসীরা জানিয়েছেন, এই এলাকার নদীতে প্রতিদিনই অসংখ্য মানুষ স্নান করেন, জল ব্যবহার করেন, মৎস্যজীবীরাও নদীতে মাছ ধরেন। তবে হঠাৎ করে নদীতে কুমির দেখা যাওয়ায় ভয়ে আর কেউ নামছেন না। বনদফতরের তরফেও নদীতে নামতে এখন নিষেধ করে দেওয়া হয়েছে। এতেই ঘোর দুশ্চিন্তায় বাসিন্দারা।
মালদহ রেঞ্জের ফরেস্ট অফিসার সুজিত কুমার চ্যাটার্জির মতে, ''এই ধরনের ঘটনা মাঝে মধ্যেই ঘটে থাকে। এটা নতুন কিছু নয়। গঙ্গা নদীর সঙ্গে যুক্ত রয়েছে মানিকচকের কালিন্দী নদী। কোনওভাবে সেটি বড় নদী থেকে হয়তো বা খাবারের খোঁজে কালিন্দী নদীতে ঢুকে পড়েছে। আপাতত কয়েকদিন গ্রামবাসীদের নদীতে না নামার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। কুমীরটির আকৃতি বিশাল। কালিন্দী নদীতে কুমীরটির উপর নজর রাখা হচ্ছে।''