ইংরেজির নতুন বছরে দিঘায় পর্যটকদের বিনোদনে নতুন উপহার। ইতিমধ্যেই তার মহড়া শুরু। দিঘা শঙ্করপুর উন্নযন পর্ষদের আধিকারিকরাও এখন বেশ ব্যস্ত। ভরপুর বিনোদনে বিরাট আয়োজনে বারবার দেখা হচ্ছে পর্যটকদের সুরক্ষার বিষযটিও।
Advertisment
নতুন বছরে বিনোদনের কী ব্যবস্থা দিঘায়?
দিঘায় পর্যটকদের জন্য প্রমোদতরীর ব্যবস্থা করছে দিঘা শংকরপুর উন্নয়ন পর্ষদ। রবিবার দিঘা শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদের এক্সিকিউটিভ অফিসার সৈকত হাজরা-সহ প্রশাসনিক কর্তারা প্রমোদতরীর ট্রায়াল রানে হাজির ছিলেন। পুজোর সময় ট্রায়াল রান শুরু হলেও এখন আবার ট্রায়াল রানের মাধ্যমে চলাচলের রাস্তা, জেটি ও অন্য বিষযগুলি খতিয়ে দেখেছেন প্রশাসনিক কর্তারা। আগামী ইংরেজি নতুন বছরে পর্যটকদের জন্য চালু হয়ে যেতে পারে এই বিশেষ পরিষেবা।
Advertisment
এবার গোয়ার মতোই দিঘার সমুদ্রেও নামতে চলেছে সুসজ্জিত এই প্রমোদতরী। পর্যটকদের কাছে যা একটি নতুন আকর্ষণ হয়ে উঠবে বলে আশা করা হচ্ছে। ‘এমভি নিবেদিতা’ নামে এই প্রমোদতরীটি হলদিয়া উন্নয়ন সংস্থা তুলে দিয়েছে দিঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন সংস্থার হাতে। দিঘার পর্যটন মানচিত্রে যুক্ত হতে চলেছে প্রমোদতরীটি। ভরপুর বিনোদনের জন্য এই প্রমোদতরীতে চেপে পর্যটকরা সমুদ্র বক্ষে ঘুরে বেড়াতে পারবেন, প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য উপভোগ করতে পারবেন। এরই পাশাপাশি মৎস্যজীবীদের জীবন জীবিকা মৎস্য শিকারের প্রক্রিয়াও সরাসরি দেখার সুযোগ পাবেন।
চম্পা নদী ক্যানেল থেকে দিঘা মোহনা হয়ে সমুদ্র উপকূলবর্তী এলাকার শৌলা পর্যন্ত চালানোর পরিকল্পনা রয়েছে এই প্রমোদতরীটিকে। ভ্রমণপিপাসুদের কাছে নতুন এই পরিষেবা দারুণ আকর্ষণীয় হবে বলে আশাবাদী প্রশাসনিক কর্তারা। প্রমোদতরীতে পর্যটকদের জন্য থাকবে খাওয়া-দাওয়ার পাশাপাশি গান-বাজনার ব্যবস্থাও।
দিঘায় এতদিন পর্যটকরা সৈকত থেকেই সমুদ্রের রূপ উপভোগ করেছেন। এবার প্রমোদতরীতে চেপে সমুদ্রযাত্রার আনন্দ উপভোগ করতে পারবেন তাঁরা। সমুদ্রের তীর বরাবর চলেছে দিঘা থেকে শৌলা পর্যন্ত দীর্ঘ ২৯ কিলোমিটার মেরিন ড্রাইভ। মাঝখানে রয়েছে ঝাউবন। সব মিলিয়ে এক অপূর্ব এবং মনোরম পরিবেশের মধ্য দিয়ে ভেসে চলবেন পর্যটকরা। এর আগে কলকাতায় গঙ্গাবক্ষে প্রমোদতরী নামতে দেখা গিয়েছে। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের পর্যটন মানচিত্রে সমুদ্রবক্ষে প্রমোদতরী এই প্রথম।
এদিন পরিদর্শনের পর দিঘা শংকরপুর উন্নয়ন পর্ষদের এক্সিকিউটিভ অফিসার সৈকত হাজরা বলেন, "প্রমোদতরীটি কী অবস্থায় আছে, সেটা কোন কোন পথ দিয়ে যাবে, তাছাড়া ঘাটের কী অবস্থা রয়েছে সব কিছুই খতিয়ে দেখলাম। বেশ কিছু কাজ এখনও বাকি রয়েছে। সেগুলি আমরা দ্রুত করে ফেলব। আশা করছি আগামী নতুন বছরে পর্যটকরা এই পরিষেবা পাবেন।"