শেষমেশ বরফ কি গলল? এটা বলার সময় এখনও আসেনি। তবে নবান্নের একটি প্রস্তাবে বিস্তর ভেবেচিন্তে অবশেষে সম্মতি দিয়েছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। আগেই এই প্রস্তাব রাজভবনে পাঠিয়েছিল নবান্ন। প্রথমটায় সেই প্রস্তাবে কান পাতেননি রাজ্যপাল। শেষমেশ মহলয়ার ভোরের আলো ফোটার মাত্র কয়েক ঘণ্টা আগেই যুগান্তকারী সম্মতি দিয়ে দিলেন রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান।
রাজ্যের কোন প্রস্তাবে সম্মতি দিলেন রাজ্যপাল?
বন্দিমুক্তি ইস্যুতে শেষমেশ মিটল সংঘাত। এই ইস্যুতে রাজভবন ও রাজ্য সরকারের মধ্যে চলা চাপানউতোরেও দাঁড়ি পড়ল। রাজ্য সরকারের দেওয়া বন্দিমুক্তির প্রস্তাবে শেষমেশ সম্মতি দিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। পুজোর আগে রাজ্যের বিভিন্ন কারাগার থেকে ৭১ জন বন্দিকে মুক্তি দেওয়ার পরিকল্পনা করে রাজ্য সরকার। সেই মতো প্রস্তাব পাঠানো হয়েছিল রজভবনে। তবে নবান্নের সেই পরিকল্পনায় প্রথমত সায় দেননি রাজভবন। যা ঘিরে সংঘাত আশঙ্কা ফের বাড়ে।
আরও পড়ুন- দুর্গাপুজোর অনুদান নিয়ে চূড়ান্ত অসন্তোষ, অর্জুন সিংয়ের মন্তব্যে চর্চা তুঙ্গে
তবে শুক্রবার গভীর রাতে রাজভবনের তরফে রাজ্যের দেওয়া বন্দি মুক্তি প্রস্তাব মেনে নেওয়ার কথা জানানো হয়েছে বলে সূত্রের খবর। তবে কি নবান্ন-রাজভবন দূরত্ব এবার ঘুঁচবে? ওয়াকিবহাল মহল এখনই এব্যাপারে এতটা আশাবাদী হচ্ছেন না। তবে সাম্প্রতিক সময়ে একাধিক ইস্যুকে ঘিরে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মধ্যে যে চাপানউতোর তৈরি হয়েছিল তা খানিকটা কমতে পারে বলে মত ওয়াকবিহাল মহলের।