হুঁশিয়ারি মতোই কড়া পদক্ষেপ রাজ্যপালের। শনিবার রাত ১২টার কিছু আগেই করলেন সেই পদক্ষেপ। রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত এখন রীতিমতো বিস্ফোরণের আকার নিয়েছে। কখন কী হয়, আগে থেকে বোঝা মুশকিল! রাজ্যপাল শনিবার ফের এক নজিরবিহীন হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন, যা নিয়ে তুমুল কটাক্ষের বন্যা বইয়ে দিয়েছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুও। এবার হুঁশিয়ারি মতোই পদক্ষেপও করলেন রাজ্যপাল। কী করলেন তিনি? তা নিয়েই জোরদার চর্চা রাজ্যের বিভিন্ন মহলে।
গতরাতে এমন কী পদক্ষেপ করলেন রাজ্যপাল?
জানা গিয়েছে, রাজ্যপাল গতকাল রাতে দুটি খামবন্দি চিঠি পাঠিয়েছেন। যার মধ্যে একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে রাজ্যের প্রধান প্রশাসনিক ভবন নবান্নে। অপর চিঠিটি রাজভবনের তরফে পাঠানো হয়েছে দিল্লিতে। দিল্লিতে ঠিক কার কাছে রাজ্যপাল চিঠিটি পাঠিয়েছেন তা এখনও স্পষ্ট হয়নি। এমনকী দুটি চিঠির বিষয়বস্তুও পুরোপুরি অজানা। এনিয়ে যতক্ষণ রাজ্যপাল নিজে কিছু খোলসা না করছেন ততক্ষণ ধোঁয়াশা রয়েই যাবে। তবে বিষয়টি নিয়ে কিন্তু বিতর্ক তুমুল পর্যায়ে চড়ছে।
রাজ্য-রাজ্যপাল নতুন করে সংঘাতের শুরুটা হয়েছিল শুক্রবার বিকেলে। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু সাংবাদিক বৈঠক করে রাজ্যপালকে কড়া ভাষায় আক্রমণ শানিয়েছিলেন। এমনকী রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের সঙ্গে মহম্মদ বিন তুঘলকের তুলনা টেনেছিলেন তিনি। ব্রাত্য বসুকে জবাব দিতে গিয়ে এরপর শনিবার মুখ খোলেন রাজ্যপালও। তিনি সাফ বলে দেন, "আজ মধ্যরাত পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। কী হবে দেখতে পাবেন।"
আরও পড়ুন- সামনেই কৌশিকী অমাবস্যা, পুন্যার্থীদের কথা ভেবে অভূতপূর্ব ব্যবস্থা তারাপীঠ মন্দিরে
রাজ্যপালের এমন হুঁশিয়ারিরও ঘুরিয়ে গতকাল পাল্টা জবাব দিয়েছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুও। কারও নাম না নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী তাঁর এক্স হ্যন্ডেলে যা লিখেছিলেন তা নিয়েও রীতিমতো চর্চা ছড়িয়েছিল। ব্রাত্য বসু গতকাল সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছিলেন, “মধ্যরাত পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। কী ঘটে তা দেখুন। সাবধান! সাবধান! সাবধান! শহরে নতুন ভ্যাম্পায়ার এসেছে! নাগরিকরা দয়া করে নিজেদের দিকে খেয়াল রাখুন। ভারতীয় পুরাণে উল্লিখিত রাক্ষস প্রহরের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি!”
এদিকে, হুঁশিয়ারির ১২ ঘণ্টার মধ্যেই গতকাল রাতে রাজ্যপালের দু-দুটি চিঠি নিয়ে কিন্তু জল্পনার পারদ চড়ছে। কী আছে সেই দুটি চিঠিতে? স্পষ্ট নয় এখনও। এব্যাপারে না রাজ্য সরকার না দিল্লির কেউ, এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্তও চিঠির বিষয়বস্তু নিয়ে মুখ খোলেনি কোনও পক্ষই।