রাজ্যে অবস্থিত ভারত-বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সীমান্ত সহ আন্তঃরাজ্য সব সীমানা বন্ধ করল পশ্চিমবঙ্গ সরকার। অমফানের বিপর্যস্ত বাংলা। চলছে পুনর্গঠনের কাজ। তাই এই পদক্ষেপ বলে নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে।
রাজ্য সরকারের এক শীর্ষ আমলা জানিয়েছেন, 'দক্ষিণবঙ্গের সাত জেলা আমফানের জেরে ক্ষতিগ্রস্ত। সেইসব জেলায় পুনর্গঠনের কাজই সরকারের আগ্রাধিকার। এই কাজে ব্যস্ত জেলা প্রশাসন। এই সময় বিদেশ থেকে বা পরিযায়ীরা রাজ্যে ফিরলে তা অসুবিধার কারণ হবে। পরিকাঠামো ও কর্মীর অভাবে বাংলায় আগতদের ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যবিধির উপর নজর রাখা যাবে না। তাই রাজ্য প্রশাসন সাময়িক সময়ের জন্য বাংলার সীমান্ত ও সীমানা বন্ধের মতো পদক্ষেপ করেছে।'
পশ্চিমবঙ্গের মধ্যে ভারত-বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক সীমান্ত অবস্থিত। এছাড়াও, বিহার, ঝাড়খণ্ড, ওড়িশা, সিকিম, আসামের সঙ্গে সীমানা রয়েছে। রাজ্য স্বরাষ্ট্র দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, বাংলাদেশ থেকে এ দেশে আসা ট্রাকগুলোকে চেকপোস্টে আটকে দেওয়া হয়েছে। দিন কয়েকের মধ্যে রাস্তা খুলে দেওয়ার পরই সেগুলিকে রাজ্যের মধ্যে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে।
বহু পরিযায়ী শ্রমিক পায়ে হেঁটে বা সড়ক পথে বাসে করে রাজ্যে ফিরছেন। এছাড়া শ্রমিক স্পেশালে করেও ফেরানো হচ্ছে ভিন রাজ্যে আটকে থাকা পরিযায়ী ও অন্যন্যদের। ইতিমধ্যেই ২৬ মে পর্যন্ত বাংলায় শ্রমিক স্পেশাল ট্রেন বন্ধ রাখার জন্য রেলকে অনুরোধ জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতাবন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের অনুরোধে উড়ান পরিষেবাও আপাতত স্থগিত করেছে কেন্দ্র। এরপরই রাজ্যের সীমানা সিল করে দিয়েছে মমতা সরকার।
সুপার সাইক্লোনের তাণ্ডবে ব্যাহত ইন্টারনেট পরিষেবা। ফলে আগামী দু'দিন ওযেবসাইট মারফত রাজ্যে প্রবেশ বা প্রস্থানের অনুমতিও মিলবে না বলে জানানো হয়েছে। রাজ্য সরকারের এক আমলা জানিয়েছেন, 'হাজারেরও বেশি আবেদন জমা পড়ে রয়েছে। ধ্বস্ত এলাকার পুনর্গঠনের কাজ শেষ হলেই ফের অনুমতি দেওয়া হবে।'
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন