মমতার অনুরোধের ২৪ ঘণ্টার মধ্য়েই আমফান বিধ্বস্ত বাংলা পরিদর্শন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ঘূর্ণিঝড়ে লন্ডভন্ড বাংলার পাশে দাঁড়িয়ে হাজার কোটির অর্থ সাহায্য়ের কথা ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী। পাশাপাশি সুপার সাইক্লোনে মৃতদের পরিজনদের ২ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ ও আহতদের ৫০ হাজার টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন মোদী। উল্লেখ্য়, বৃহস্পতিবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে আমফানে মৃতদের পরিজনদের আড়াই লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন মমতা।
এদিন, মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায় ও রাজ্য়পাল জগদীপ ধনকড়ের সঙ্গে আমফান বিধ্বস্ত এলাকা পরিদর্শন করেন প্রধানমন্ত্রী। ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনের পাশাপাশি মমতার সঙ্গে বৈঠকও করেন মোদী। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে মুখ্য়মন্ত্রী জানিয়েছেন, আমফানের জেরে বাংলায় ১ লক্ষ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। বসিরহাটে এদিন মোদীর সঙ্গে রিভিউ মিটিং করেন মমতা। সেই বৈঠকের পর মুখ্য়মন্ত্রী জানান, এই কঠিন সময়ে একসঙ্গে কাজ করতে হবে আমাদের।
#WATCH: PM Narendra Modi conducts aerial survey of areas affected by #CycloneAmphan in West Bengal. CM Mamata Banerjee is also accompanying. pic.twitter.com/Da7NebJhws
— ANI (@ANI) May 22, 2020
আরও পড়ুন: মমতার ভূয়সী প্রশংসায় মোদী, 'মমতার নেতৃত্বে অভাবনীয় লড়াই করছে বাংলা'
'মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়ের নেতৃত্বে বাংলা লড়ছে', বাংলায় এসে এদিন এ ভাষাতেই মমতার দরাজ প্রশংসা করেছেন মোদী। পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ''আমরা একদিকে অতিমারীর বিরুদ্ধে লড়াই করছি, আবার ঘূর্ণিঝড়ে বিপর্যয় হয়েছে...আমরা চাই বাংলা এগিয়ে চলুক। কেন্দ্র বরাবর পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে রয়েছে। এই পরিস্থিতি ছাড়া বাংলা ভালভাবে লড়াই করছে। এই কঠিন সময়ে আমরা বাংলার পাশে রয়েছি''।
#WATCH: PM Narendra Modi conducts aerial survey of areas affected by #CycloneAmphan in West Bengal. CM Mamata Banerjee is also accompanying. pic.twitter.com/Da7NebJhws
— ANI (@ANI) May 22, 2020
এদিন, কলকাতা বিমানবন্দরে আমফান বিপর্যয় প্রসঙ্গে বাংলার মুখ্য়মন্ত্রী বলেন, ''এটা জাতীয় বিপর্যয়ের থেকেও বড় বিপর্যয়। এ রকম বিপর্যয় আমার জীবনে আগে কখনও দেখিনি। বাংলার ৬০ শতাংশ মানুষই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে...পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে সময় লাগবে...মারাত্মক বিপর্যয় এটা। আমাদের মন্ত্রী ও আধিকারিকরা দিনরাত কাজ করছেন। পুলিশ নিরলসভাবে কাজ করছে। আমরা তিনটি চ্য়ালেঞ্জ মোকাবিলা করছি, একটা লকডাউন, তারপর করোনা, আর এখন এই বিপর্যয়। গ্রামগুলো ধ্বংস হয়ে গিয়েছে''।
Read the full story in English