ফের এক ঘূর্ণিঝড়ের ভ্রুকুটি। বঙ্গোপসাগরে ইতিমধ্যেই অতি গভীর একটি নিম্নচাপ তৈরি হয়েছে। রবিবার সকাল থেকে বিকেলের মধ্যে সেই অতি গভীর নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। কেন্দ্রীয় আবহাওয়া বিভাগ জানিয়েছে, বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া ঘূর্ণাবর্তটি সরাসরি অন্ধ্র বা ওড়িশার উপকূলে আছড়ে পড়বে না। তবে এই দুই রাজ্যের উপকূল ঘেঁষে ঘূর্ণিঝড়টি বেরোবে। শেষমেশ বাংলাদেশের দিকে চলে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে এই ঘূর্ণিঝড়ের।
দানা বাঁধছে ঘূর্ণিঝড়। রবিবার বিকেলের মধ্যেই তা প্রবল শক্তি সঞ্চয় করতে পারে বলে মনে করছে কেন্দ্রীয় আবহাওয়া বিভাগ। আগামী ১০ মে নাগাদ ঘূর্ণিঝড়টি ওড়িশা ও অন্ধ্রপ্রদেশের উপকূলে পৌঁছনোর সম্ভাবনা রয়েছে।
তবে তারপরে এই দুই রাজ্যের উপকূলে ঘূর্ণিঝড়টির আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ। বরং এই দুই রাজ্যের উপকূল ধরে ঘূর্ণিঝড়টি বেরিয়ে যেতে পারে। শেষমশ বাংলাদেশের দিকে চলে যাওয়ার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে ঘূর্ণিঝড়ের।
আরও পড়ুন- ‘শিল কাটাও’-‘শিল কাটাও’, প্রযুক্তির জাঁতাকলে ক্রমশ ফিকে এই ডাক
কেন্দ্রীয় আবহাওয়া বিভাগের তরফে জানানো হয়েছে, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে বাংলার পড়শি রাজ্য ওড়িশার উপকূলে ব্যাপক আবহাওয়ার বদল চোখে পড়তে পারে। ৯ মে অর্থাৎ সোমবার থেকেই ওড়িশার উপকূলে প্রবল ঝোড়ো হাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সমুদ্র থাকবে উত্তাল।
মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে নামতে নিষেধ করা হয়েছে। নিয়ন্ত্রণ করা হবে পর্যটকদের গতিবিধিও। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ওড়িশার উপকূলবর্তী একাধিক জেলায় বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। পুরী, খুড়দা-সহ উপকূলের বেশ কয়েকটি জেলায় বৃষ্টির সম্ভাবনা প্রবল।