ক্রমশ শক্তি বাড়িয়ে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’। শুক্রবার ওড়িশা উপকূলে আছড়ে পড়তে চলেছে ‘ফণী’। ঘণ্টায় ১৭৫-১৮৫ কিমি বেগে ওড়িশা উপকূলে আছড়ে পড়তে পারে এই ঝড়। ঝড়ের সর্বোচ্চ গতিবেগ থাকতে পারে ঘণ্টায় ২০০ কিমি। আবহাওয়া দফতর সূত্রে এমনটাই জানানো হয়েছে। ‘ফণী’-র তাণ্ডবে তছনছ হতে পারে ওড়িশা। ইতিমধ্যেই ঝড়ের মোকাবিলা করতে জোর তৎপরতা শুরু হয়েছে বাংলার এই পড়শি রাজ্যে। সব পর্যটককে পুরী থেকে সরানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই সে রাজ্যের প্রশাসনের তরফে সতর্কতামূলক সব রকম পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। ফণীর তাণ্ডবের আশঙ্কায় দক্ষিণ-পূর্ব শাখায় বেশ কয়েকটি ট্রেন বাতিল করা হয়েছে।
Bhubaneswar: Preparations underway by Odisha Fire Services in view of "extremely severe" cyclonic storm #Fani. Around 50 teams of six members each are on alert in the city. #Odisha (01.05.19) pic.twitter.com/RCr4OOFwt5
— ANI (@ANI) May 1, 2019
এদিকে, ওড়িশার পাশাপাশি বাংলাতেও তাণ্ডব চালাতে পারে ফণী। কাল ও পরশু ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায়। শুক্রবার ওড়িশা উপকূলে আছড়ে পড়ার পর এ রাজ্যের দিকে ধেয়ে আসবে ফণী। শনিবার ঘণ্টায় প্রায় ১১৫ কিমি বেগে ঝড়ের মুখে পড়তে পারে পশ্চিমবঙ্গ উপকূল।
আরও পড়ুন: ধেয়ে আসছে ‘ফণী’, বাংলায় ঝড়-বৃষ্টির পূর্বাভাস
আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে, শুক্র ও শনিবার ফণীর প্রভাবে রাজ্যে ঝড়-বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। আগামী ৩ মে কলকাতা, দুই ২৪ পরগণা, হাওড়া, হুগলি, দুই মেদিনীপুর, এবং ঝাড়গ্রামে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। পরের দিন, শনিবার কলকাতা, দুই ২৪ পরগণা, দুই মেদিনীপুর, হাওড়া, হুগলি, এবং ঝাড়গ্রামে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের জেলাগুলিতে যেমন বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকছে, তেমনই উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতেও ভারী বৃষ্টি হতে পারে।
আজ থেকেই রাজ্যে ঘণ্টায় ৪০ থেকে ৬০ কিমি বেগে বইতে পারে ঝোড়ো হাওয়া। শুক্রবার হাওয়ার বেগ আরও বাড়তে পারে। সেদিন ঘণ্টায় ৬০ থেকে ৮৫ কিমি বেগে বইতে পারে ঝোড়ো হাওয়া। তবে শনিবার সম্ভবত আরও বাড়বে ঝড়ের বেগ। ৪ মে পশ্চিমবঙ্গ উপকূলবর্তী এলাকায় হাওয়ার বেগ ঘণ্টায় ৯০ থেকে ১১৫ কিমি হতে পারে। বৃহস্পতিবার থেকে মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। আজকের মধ্যেই সব মৎস্যজীবীদের সমুদ্র থেকে ফিরে আসার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে হাওয়া অফিসের তরফে। মৎস্যজীবীদের পাশাপাশি পর্যটকদেরও সমুদ্রে নামতে বারণ করা হয়েছে। ‘ফণী’র তাণ্ডবে বাংলার বিভিন্ন প্রান্তে ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। সেই মতো আগাম ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনকে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে আবহাওয়া দফতরের তরফে।