শক্তি হারিয়েছে ঘূর্ণিঝড় 'মিধিলি'। বঙ্গোপসাগরে তৈরি গভীর নিম্নচাপ বাংলাদেশের উপকূলে গিয়ে দুর্বল হয়ে পড়েছে। এই ঘূর্ণিঝড় আগামী ছয় ঘণ্টার মধ্যে ভারতের উত্তর ও উত্তর পূর্ব রাজ্যগুলির দিকে এগোবে। অসমের দক্ষিণ প্রান্ত ও লাগোয়া মিজোরাম ও ত্রিপুরার উপর দিয়ে ঘূর্ণিঝড়টি এগোবে বলে আবহাওয়া বিভাগের তরফে জানা গিয়েছে।
আবহাওয়া বিভাগের তরফে জানা গিয়েছে, ঘূর্ণিঝড় "মিধিলি" উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরের উত্তর-উত্তর পূর্ব দিকে সরে গেছে। এটি উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে সরে যাওয়ার জেরে আরও দুর্বল হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আগামী ৬ ঘণ্টায় ত্রিপুরা ও পার্শ্ববর্তী বাংলাদেশ এবং দক্ষিণ আসাম এবং সংলগ্ন মিজোরাম ও ত্রিপুরায় ঝড়ের প্রভাব পড়তে পারে।
বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম 'প্রথম আলো'য় প্রকাশিত প্রতিবদেনও বলা হয়েছে, সেদেশের উপকূল অতিক্রম করার সময়েই ঘূর্ণিঝড় 'মিধিলি' দুর্বল হয়েছে। এই ঘূর্ণিঝড় বাস্তবেও বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। যদিও এর জেরে বাংলাদেশের খেপুপাড়া ও সংলগ্ন এলাকায় বা দেশের আরও কয়েকটি জায়গায় বেশ কিছুক্ষণ বৃষ্টি ও ঝোড়া হাওয়ার দাপট ছিল।
ঘূর্ণিঝড় 'মিধিলি'র প্রভাব থেকে মুক্ত এরাজ্যও। শুক্রবার সকাল থেকে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে মেঘলা আকাশ ছিল দক্ষিণবঙ্গের প্রায় সর্বত্র। তবে শনিবার সকাল থেকেই মেঘমুক্ত আকাশ। সকাল থেকে রোদ ঝলমলে আবহাওয়ায় শীতের আমেজ ফিরেছে বঙ্গে। মোটের উপর ঘূর্ণিঝড় কেটে যেতেই আকাশ পরিস্কার হয়েছে। তারই জেরে নেমেছে পারদ।
আগামী কয়েকদিনে আরও বাড়বে শীত?
আবহাওয়া দফতরের ইঙ্গিত কিন্তু তেমনই। আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে আগামী দুই থেকে তিনদিনের মধ্যে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের জেলাগুলিতে পারদ দুই ডিগ্রি পর্যন্ত নেমে যেতে পারে। উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে এমনিতেই শীতের আমেজ রয়েছে। এবার তা আরও বাড়বে।