সাগরে ঘনাচ্ছে 'বিপদ'। বঙ্গোপসাগরে তৈরি গভীর নিম্নচাপটি অতি গভীর নিম্নচাপে ইতিমধ্যেই পরিণত হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতের মধ্যেই সেই অতি গভীর নিম্নচাপটির ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার আশঙ্কাও প্রবল। কোথায় আছড়ে পড়তে পারে ভয়াল এই ঘূর্ণিঝড়? এব্যাপারে এখনও পর্যন্ত আবহাওয়া দফতরের যা আপডেট তাতে বিশেষ বিচলিত হওয়ার কারণ থাকছে না বঙ্গবাসীর। তবে ঘূর্ণিঝড় 'মোকা' শঙ্কার মাঝেই অস্বস্তির পারদ তুঙ্গে চড়িয়েছে তীব্র গরমে হাঁসফাস পরিস্থিতি। রাজ্যের একটি বড় অংশে আগামী ৪৮ ঘণ্টা তাপপ্রবাহের সতর্কতা রয়েছে।
বঙ্গোপসাগরে ইতিমধ্যেই তৈরি গভীর নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার দিকে দ্রুত গতিতে ছুটছে। এখনও পর্যন্ত আবহাওয়ার যা গতি-প্রকৃতি তাতে বৃহস্পতিবারে মধ্যেই সেটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। অতি গভীর সেই নিম্নচাপ ঘূর্মিঝড়ে পরিণত হলে নাম হবে 'মোকা'। আবহাওয়াবিদদের ধারণা, ঘূর্ণিঝড়টি আগামী রবিবার বাংলাদেশ ও মায়ানমার উপকূলে আছড়ে পড়তে পারে। ল্যান্ডফলের সময় সেটির গতিবেগ থাকতে পারে ঘণ্টায় ১১০ থেকে ১২০ কিমি।
আরও পড়ুন- সজোরে ধাক্কা মালগাড়ির, হুড়মুড়িয়ে লাইন থেকে নেমে গেল চলন্ত লোকাল ট্রেনের বগি
এদিকে, বঙ্গে এই ঝড়ের আছড়ে পড়ার আশঙ্কা এখনও বেশ কম থাকলেও এর জেরে তাপপ্রবাহে জেরবার রাজ্যের অধিকাংশ এলাকা। গরম বাতাসের দাপটে রাজ্যের একাধিক জেলার তাপমাত্রা চড়েই চলেছে। আগামী ২ দিন কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে তাপপ্রবাহের সতর্কতা রয়েছে। কলকতার তাপমাত্রা তো বাড়ছেই, ভয়ঙ্কর অবস্থা রাজ্যের পশ্চিমের জেলাগুলিতে।
আরও পড়ুন- ছেলে না ফিরলেও এতেই যেন কিছুটা ‘শান্তি’, দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলছেন দাড়িভিটের দুই নিহতের পরিবার
ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া, পশ্চিম মেদিনীপুর, পুরুলিয়া, বীরভূম, পশ্চিম বর্ধমানের তাপমাত্রা ইতিমধ্যেই ৪০-এর গণ্ডি ছাড়িয়েছে। তবে আগামী শুক্রবার থেকে দক্ষিণবঙ্গের কয়েকটি জেলায় আবহাওয়ায় বদল চোখে পড়তে পারে। আগামী শনি ও রবিবার দুই ২৪ পরগনা ও পূর্ব মেদিনীপুরে বজ্রবিদ্যুত-সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।