দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে তৈরি হয়ে গিয়েছে ঘূর্ণাবর্ত। শক্তি বাড়িয়ে তা গভীর নিম্নচাপে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনাও প্রবল। এখনও পর্যন্ত আবহাওয়ার গতি-প্রকৃতি দেখে মৌসম ভবনের ধারণা ঘূর্ণিঝড় সম্ভবত তৈরি হচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় তৈরি হলে তার নাম হবে 'মোকা'। 'মোকা'র প্রভাব পড়ার জোরালো সম্ভাবনা রয়েছে ওড়িশা ও পশ্চিমবঙ্গের উপকূলে। সোমবার থেকে আন্দামানে এর প্রভাব পড়তে শুরু করবে বলে পূর্বাভাস আবহাওয়া দফতরের।
ফের এক ঘূর্ণিঝড়ের ভ্রূকুটি বঙ্গে। ইতিমধ্যেই দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে তৈরি হয়েছে ঘূর্ণাবর্ত। সেই ঘূর্ণাবর্তই শক্তি বাড়িয়ে প্রথমে নিম্নচাপ ও পরে গভীর নিম্নচাপ এবং একদম শেষ পর্যায়ে গিয়ে ঘূর্ণিঝড়ের রূপ নিতে পারে। সেই ঘূর্ণিঝড় ঠিক কোথায় আছড়ে পড়বে সেব্যাপারে এখনও পর্যন্ত নিশ্চিত নয় মৌসম ভবন। তবে সিস্টেমটির উপর সর্বক্ষণ নজরদারি চালাচ্ছেন আবহাওয়াবিদরা। সময়ে-সময়ে এব্যাপারে আপডেট দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন- ‘খেলা’ শুরু তৃণমূলের! ভাঙড়ে ISF শিবিরে ধাক্কা, জোড়াফুল হাতে নিলেন শতাধিক কর্মী
আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, সোমবার আন্দামানে ৮০-৯০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়া হাওয়া বইতে পারে। মঙ্গলবারও থাকবে সেই হাওয়ার দাপট। ইতিমধ্যেই মৎস্যজীবীদের গভীর সমুদ্র থেকে ফিরে আসতে আবেদন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন- ‘মমতা রেলমন্ত্রী থাকাকালীন চুরি শুরু’, তুলকালাম অভিযোগ দিলীপের
সোমবার থেকে আন্দামানে 'মোকা'র প্রভাব পড়তে শুরু করলেও দক্ষিণবঙ্গে এখনই ঝড়-বৃষ্টির পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। বরং দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে তাপমাত্রার পারদ থাকবে ঊর্ধ্বমুখী। আগামী কয়েকদিনে রাজ্যের পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলির তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রির গণ্ডি ছাড়িয়ে যেতে পারে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে। তবে উত্তরবঙ্গের একাধিক জেলায় আগামী ২৪ ঘণ্টায় বজ্রবিদ্যুত-সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। হালকা বৃষ্টি হতে পারে দার্জিলিং, কালিম্পং, কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়িতে।