রাজ্যের অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র দিঘা।সেই দিঘা বারবার প্রাকৃতিক দূর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পর্যটক ও স্থানীয় ব্যবসায়ীদের কথা ভেবে সাজিয়ে তোলায় হয় দিঘা। পর্যটক টানতে এবং ব্যাবসার শ্রীবৃদ্ধি ঘটিয়ে ব্যবসায়ীদের মুখে হাসি ফোটাতে একের পর এক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে রাজ্য সরকার। দিঘার পরিবেশ যেমন আধুনিকিকরণ করে তোলা হয়েছে তেমনি ব্যবসায়ীদের জন্য স্থায়ী আচ্ছাদন গড়ে তোলা হয়েছে।
Advertisment
আবহাওয়া দফতর ঘুর্ণিঝড় মোকার পূর্বাভাস দিয়েছে। সেই পূর্বাভাস পেয়ে চিন্তায় পড়েছে সমুদ্র পাড়ের ব্যবসায়ীরা। ঝড়, বৃষ্টি ও সমুদ্রের জলোচ্ছ্বাস হলেই চিন্তায় পড়ে দিঘার সমুদ্র পাড়ের ব্যবসায়ীরা। ঘুর্ণিঝড় মোকার কথা শুনেই চিন্তা অনেকটা বেড়ে গিয়েছে।
প্রদীপ দাস নামে এক ব্যবসায়ী জানান, "আমরা যাঁরা সমুদ্রপাড়ে ব্যবসা করি খুব ভয় ও চিন্তাই থাকি৷ গত কয়েক বছর প্রাকৃতিক দুর্যোগ আমরা ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়ি। একটু ঝড় বৃষ্টি হলেই জল যেমন ঢুকে যায় তেমনি সমুদ্রের জল ফুলে ফেঁপে উঠে জলোচ্ছ্বাসে পরিণত হয়ে আমাদের দোকানে প্রবেশ করে। ফলে আমরা সারাক্ষণ ভয় ও চিন্তায় মাথায় নিয়ে ব্যবসা করে থাকি।"
দিঘার সমুদ্রপাড়ে ঘর সাজানোর নানা জিনিসের পসরা নিয়ে বসেন ব্যবসায়ীরা। একটু বেশি বিক্রির আশায় তাঁরা সমুদ্রপাড়ে দোকান খুলেছেন। কিন্তু প্রাকৃতিক দূর্যোগ ঘনালে চিন্তা বেড়ে যায় তাদের। নিউ দিঘা থেকে ওল্ড দিঘা পর্যন্ত সমুদ্রপাড় বরাবর বহু ছোট বড় দোকান রয়েছে। সেই সমস্ত দোকানের ব্যবসায়ীরা প্রাকৃতিক দুর্যোগ এলেই চিন্তায় পড়েন।
ঘূর্ণিঝড় মোকার প্রভাব বাংলায় কতটা পড়বে তা পরিস্কার না হলেও ঘূর্ণিঝড় মোকা নিয়ে চিন্তায় জেলা প্রশাসন থেকে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা।