দুরন্ত গতিতে এগোচ্ছে 'রেমাল', কাঁপছে বাংলা! লণ্ডভণ্ড হবে কলকাতাও? তুফানি দুর্যোগ কবে? রইল বিরাট আপডেট। আবহাওয়া দফতর বলছে, ঘূর্ণিঝড়ের কারণে আগামী ২৫ মে বাংলার কয়েকটি জেলায় ঘণ্টায় ৮০ থেকে ১০০ কিলোমিটার এবং পার্শ্ববর্তী বাংলাদেশে ঘণ্টায় ১০০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে। পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা, মিজোরাম, ত্রিপুরা এবং দক্ষিণ মণিপুরের উপকূলীয় জেলাগুলিতে ২৬-২৭ মে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের সতর্কতা জারি করা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়টি ২৫ মে (শনিবার) গভীর নিম্নচাপে এবং ২৬ মে একটি অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
আগামী কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ঝড়ো হাওয়া সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। ঘূর্ণিঝড় নিয়ে ‘ইতিমধ্যেই সতর্কবার্তা’ জারি করা হয়েছে। জেলেদের সমুদ্রে যেতে বারণ করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, 'রেমাল' নামটি ওমানের দেওয়া। এটি একটি আরবি শব্দ। এই নামের অর্থ ‘বালি’। এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ২৪ মে রাত থেকে বাংলাদেশের ও পশ্চিমবঙ্গের বিস্তৃর্ণ অংশে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি করা হয়েছে। উপকূলবর্তী এলাকার বাসিন্দাদের জন্য জারি করা হয়েছে বিশেষ সতর্কতা। হাওয়ার গতিবেগ সর্বোচ্চ ৮০-১০০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা পর্যন্ত হতে পারে বলেই জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর।
ঝড়ের নামকরণের আগে দেখা হয় তা যেন আপত্তিকর ও বিতর্কিত না হয়। উচ্চারণ করা সহজ এবং মনে রাখা সহজ হওয়া উচিত। প্রথমে ঝড়ের নামকরণের কোন নিয়ম ছিল না। পরবর্তীতে বিজ্ঞানীরা এর জন্য একটি আদর্শ পদ্ধতি তৈরি করেন। ভারতের আইএমডি ছয়টি আবহাওয়া কেন্দ্রের মধ্যে একটি যা ঘূর্ণিঝড়ের নাম দেয়। এই আবহাওয়া কেন্দ্রগুলি কেবল ঘূর্ণিঝড়ের নাম দেয়, তবে নামগুলি এমনভাবে নেওয়া হয় যাতে কারও অনুভূতিতে আঘাত না হয় এবং এই নামগুলির পুনরাবৃত্তি হয় না।
২০০৪ সালে, ভারত মহাসাগর অঞ্চলের জন্য ঝড়ের নামকরণের জন্য একটি সূত্রে ঐকমত্য পৌঁছেছিল। এই অঞ্চলে যে ৮টি দেশ পড়ে সেগুলো হলো বাংলাদেশ, ভারত, মালদ্বীপ, মিয়ানমার, ওমান, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা এবং থাইল্যান্ড। ভারত এবং তার প্রতিবেশী দেশগুলি ২০০০ সাল থেকে ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণের অনুশীলন শুরু করে। ভারত ছাড়াও এই দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ, মালদ্বীপ, মিয়ানমার, ওমান, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা ও থাইল্যান্ড। এই দেশগুলি ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণের জন্য একটি তালিকা সামনে রেখেছে। এছাড়াও, ঘূর্ণিঝড়ের নাম নির্ধারণের জন্য রাষ্ট্র সংঘের ওয়ার্ল্ড মেট্রোলজিক্যাল অর্গানাইজেশন কিছু নিয়ম তৈরি করেছে।
আটলান্টিক মহাসাগর অঞ্চলে ঘূর্ণিঝড়ের নাম নির্ধারণের অনুশীলন ১৯৫৩ সালে শুরু হয়েছিল। একই সময়ে, এটি ভারত মহাসাগর অঞ্চলে তা ২০১৪ সালে শুরু হয়েছিল। ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলের আটটি দেশের মধ্যে রয়েছে ভারত, বাংলাদেশ, মালদ্বীপ, মিয়ানমার, ওমান, পাকিস্তান, থাইল্যান্ড এবং শ্রীলঙ্কা। এ ছাড়া ২০১৯ সালে ইরান, কাতার, সৌদি আরব এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত ও ইয়েমেন যুক্ত হয়। যখন একটি ঘূর্ণিঝড়ের সম্ভাবনা তৈরি হয়, তখন এই ১৩টি দেশ তাদের ক্রম অনুসারে নাম নির্ধারণ করে। সোমালিয়ায় যে ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানে, তার নামকরণ করেছিল ভারত, যার নাম ছিল গতি। একই সঙ্গে ২০২৩ সালের ঘুর্ণিঝড় বিপর্যয়ের নামকরণ করেছে বাংলাদেশ। এবার ২০২৪-এ 'রেমালের' নামকরণ করেছে ওমান।