গতিপথ বদলালেও ইয়াসের দাপটে উত্তাল সমুদ্র। উপকূলবর্তী এলাকায় মূলত দিঘা সংলগ্ন বেশ কয়েকটি গ্রামে বাঁধ ছাপিয়ে গ্রামে জল ঢুকতে শুরু করেছে ইতিমধ্যেই। এদিকে ঘূর্ণিঝড় ইয়াস যখন আছড়ে পড়বে, তখন সর্বোচ্চসীমায় পৌঁছাবে জোয়ার।
কারণ, একদিনে পূর্ণিমা ও চন্দ্রগ্রহণ পড়েছে। চন্দ্রগ্রহণের দিন সকাল ৯ টা ১৫ মিনিট শুরু হবে জোয়ার। ফলে চন্দ্রগ্রহণ ও পূর্ণিমার জলোচ্ছ্বাসের মধ্যেই ধীরে ধারে সাগরবক্ষে আগমন ঘটবে ইয়াসের। পূর্ণিমার প্রভাবে বুধবার সকাল ৯টা ১৫ মিনিটে শুরু হবে জোয়ার। সকাল ১০টা ৪৮ মিনিটে সর্বোচ্চ সীমায় পৌঁছবে জোয়ার।
এই দুই কারণে ঘূর্ণিঝড়টি আরও শক্তিশালী হয়ে উঠতে পারে বলেই আশঙ্কা করা হচ্ছে। যার প্রভাবে উপকূলীয় এলাকায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে। এই সময় জোয়ারের জেরে জলের উচ্চতা সর্বোচ্চ ৫ মিটার পর্যন্ত উঠবে।
এখনও পর্যন্ত নির্দিষ্ট করে বলা যাচ্ছে না যে কখন এই ঝড়ের ল্যান্ডফল হবে, তবে আবহবিদদের আশঙ্কা, যে জোয়ারের সময়ই যদি ইয়াস এসে পড়ে, তাহলে তার প্রভাব ভয়ানক হতে পারে। বুধবার দুপুর ৩টো ১৫ মিনিটে শুরু হওয়ার কথা পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ। চলবে সন্ধ্যা ৬টা ২৩ মিনিট পর্যন্ত। ২০২১ সালে এটিই প্রথম ও শেষ ‘ব্লাড মুন’ হতে চলেছে।
তবে পশ্চিমবঙ্গ উপকূল থেকে আরও কিছুটা ওড়িশার দিকে সরে গিয়েছে ঘূর্ণিঝড়ের গতিপথ। গত ৬ ঘণ্টা ধরে ঘণ্টায় ১৭ কিলোমিটার গতিবেগে এগোচ্ছে ইয়াস। আর তার ফলেই স্থলভাগের থেকে ক্রমশ দূরত্ব কমছে তার।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন