আমফানের স্মৃতি এখনও টাটকা বঙ্গবাসীর মনে। এরই মধ্যে ফের করোনা আবহে রাজ্যে আসছে ঘূর্ণিঝড় ইয়াস (Cyclone Yaas) (অনেকক্ষেত্রে যশ নামও ব্যবহার হচ্ছে)। মৌসম ভবনের তরফে জানানো হয়েছে, আগামী ২২ মে নিম্নচাপ অক্ষরেখা তৈরি হতে পারে। যা ২৪ মে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে।
প্রাথমিকভাবে এই ঘূর্ণিঝড়ের গতিপথ নিয়ে অনিশ্চয়তা থাকলেও আগামী ২৬ মে সকালে ওড়িশা ও পশ্চিমবঙ্গ উপকূলে পৌঁছতে পারে, এমনটাই বিবৃতিতে জানান হয়েছে। তবে ২৩ মে থেকেই উত্তাল হবে সমুদ্র। মৎস্যজীবীদের যেতে নিষেধ করা হয়েছে।
২৩ মে থেকে পূর্ব মধ্য বঙ্গোপসাগর ও আন্দামান সাগরে ঘণ্টায় ৪৫-৬৫ কিমি বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে। হাওয়ার সর্বোচ্চ বেগ হতে পারে ঘণ্টায় ৬৫ কিমি। রবিবার থেকেই ক্রমশ বাড়বে হাওয়ার গতিবেগ, এমনটাই জানান হয়েছে।
বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'করোনার মধ্যে একের পর এক দুর্যোগ আসছে। আমরা ইতিমধ্যেই সব রকম প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছি। কালও একটা মিটিং করেছি উপকূল এলাকায় উদ্ধারকাজ নিয়ে। আজও করছি।' নবান্নের শীর্ষ কর্তা থেকে জেলা প্রশাসনকে সতর্ক থাকতে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর-সহ সংশ্লিষ্ট কয়েকটিদফতরের কর্মীদের ছুটিও বাতিল করা হয়েছে। স্বরাষ্ট্রসচিব, স্বাস্থ্যসচিব-সহ শীর্ষ প্রশাসনিক আধিকারিক এবং কলকাতা ও রাজ্য পুলিশের কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করে এই ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলার সব ব্যবস্থার দিকে নজর দেওয়ার নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন